নগর সংবাদ।।মেধাবী ছাত্র ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১০১ মাস :ত্বকীসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই-রফিউর রাব্বি।
মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১০১ মাস উপলক্ষে এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে নিহতদের স্মরণে আলোকপ্রজ্বলন কর্মসূচি পালিত হয়েছে
রোববার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট এ কর্মসূচির আয়োজন করে। তবে করোনা মহামারির কারণে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এ কর্মসূচিতে প্রায় আড়াই শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন।
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, দেশে বিচারব্যবস্থা স্বাধীন হলে একটি হত্যার বিচারের অভিযোগ তৈরি হয়েও তা সাড়ে আট বছর আটকে থাকতে পারে না। আমরা এ বৈষম্যমূলক বিচার-ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই। রাষ্ট্রীয় ছত্রচ্ছায়ায় সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অবসান চাই। ত্বকীসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
সারা বিশ্বে করোনায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। দরিদ্র ও ভাসমান মানুষদের বাঁচাতে লঙ্গরখানা, প্রতিটি উপজেলা ও গ্রামে ভিজিএফ, ওএমএফসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায় বলেন, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে হত্যা করে ঘাতকরা মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। দুইদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বিচারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখে আমরা নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট আলোকপ্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করে আসছি। অথচ সাড়ে আট বছরেও এ হত্যার বিচার হয়নি। আজকে আমরা ত্বকী হত্যার ১০১ মাস উপলক্ষ্যে ত্বকীসহ সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিহতদের স্মরণ করছি।
নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সাবেক সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, প্রদীপ ঘোষ বাবু, সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, খেলাঘর নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, উদীচী জেলা সভাপতি জাহিদুল হক দীপু, মহিলা পরিষদ জেলার সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী, সমগীতের সভাপতি অমল আকাশ, সিপিবি জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, বাসদ জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, ন্যাপ জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজনসহ প্রায় আড়াই শতাধিক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুদিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।