দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ইতালিতে ছিলেন স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে। কিন্তু বার্ধক্য জনিত কারনে মারা যাওয়া মাকে শেষবারের মতো দেখতে এবং জানাযা পড়তে এসেছিলেন দেশে। কিন্তু দেশে ফিরে মায়ের মরদেহ দেখার আগেই নিভে গেল ছেলের জীবনপ্রদীক। সড়ক দুর্ঘটনায় ছেলে এবং মেয়ের জামাতাসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলো, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান মেম্বারের পুত্র ইটালী প্রবাসী শাহ আলম (৫০) এবং তার ভগ্নিপতি একই উপজেলার শামসু উদ্দিনের ছেলে সেলিম মিয়া (৪০)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাড়কের নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ইতালিতে বসবাস করতো শাহ আলম। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বার্ধক্য জনিত কারণে তার মায়ের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আজ দুপুরে তার মায়ের জানাযায় অংশ নিতে সকালেই দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে ভগ্নিপতি সেলিম মিয়া, তার ভাগিনাসহ চারজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এ সময় নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ঘাসিদিয়া এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি পাথর বোঝাই ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই শাহ আলম এবং হাসপাতালে নেয়ার পর তার ভগ্নিপতি সেলিম মিয়ার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালকসহ আরো দুইজন আহত হয়।
ইটাখোলা হাইওয়ে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আরিফুর রহমান জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী একটি মাইক্রোবাস ঘাসিরদিয়া এলাকায় পৌছলে বিপরতি দিক থেকে আসা পাথর বোঝাই একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো এক জনের মৃত্যু হয়। তার মাইক্রোবাসের চালক এবং অপর যাত্রী নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।