আজ ১০ই মে শুক্রবার, শ্রী দিগম্বর জৈন সমাজের পরিচালনায়, শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায় উপস্থিতিতে, সকাল ১১ টা থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে, প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি। পথ চলতি মানুষের হাতে, আখের রস শরবত ও প্রভুর ভোগ অর্থাৎ লুচি ঘুগনি চাটনি তুলে দিলেন,
এবারে তাদের সপ্তম তম বর্ষ, এই অভিনব প্রয়াস পথ চলতি মানুষদের মুগ্ধ করলো। এই প্রয়াসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার দোকানদার, কেএম সি এবং ট্রাফিক পুলিশ কলকাতা, একদিকে যেমন ট্রাফিক পুলিশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কোন রকম যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে পথ চলতি মানুষের, তেমনি যাতে রাস্তায় কোন নোংরা না হয়।
কে এম সি লোকেরা ঘন্টায় ঘন্টায় সেখান সময় ময়লা পরিষ্কার করে দিচ্ছেন, উদ্যোক্তারা জানালেন আমরা মোটামুটি পাঁচ হাজার মানুষের হাতে এখন পর্যন্ত ভোগ দিয়েছি, কিন্তু আমাদের প্রয়াস চলবে যতক্ষণ মানুষ আসবে আমরা তাদের হাতে তুলে দেব। বিকেল পাঁচটা বা সাতটা বাজুক, আমাদের সদস্যরা পথ চলতি মানুষের হাতে সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দেবেন। যাতে কেউ না ফিরে যায়। ভোগ খেতে বাদ পড়েনি কেএম সি লোকেরা ও ট্রাফিক পুলিশরা, ভক্তি ভরে ঠাকুরের ভোগ খেয়েছেন।
উদ্যোক্তাদের কাছে এই প্রয়াস সম্বন্ধে জানা গেল, প্রভু ছয় মাস নীরাহার থাকার পর আখের রস দিয়ে প্রথম সেবন করেন, আর অক্ষয় তৃতীয়া দিনে, এই দিনটি আমাদের কাছে বিশেষ দিন,, তাই আজকের দিনে প্রভুকে আখের রস, শরবত ও ভোগ দিয়ে আমরা সাধারণ মানুষের হাতে সেই ভোগ বিতরণ করছি।, প্রভুর উদ্দেশ্যে, আরো জানান আমরা শুধু এই অনুষ্ঠানই করি না , সারা বছর ধরে আমাদের বিভিন্ন সামাজিক কাজ চলে ,ব্লাড ক্যাম্প ,
আই ক্যাম্প, চশমা বিতরণ এবং খুব সামান্য পয়সায় দাতব্য চিকিৎসালয়, রাস্তার মোড়ে পথ চলতি মানুষের জন্য ঠান্ডা জলের মেশিন বসিয়ে তৃষ্ণা নিবারণ, এছাড়াও জৈন সমাজের বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকি, তাহারা বলেন এই অনুষ্ঠানটা আমরা ছোট করে শুরু করেছিলাম কিন্তু সবার সহযোগিতা পেয়ে আমরা গর্বিত যে আমরা মানুষের পাশে বড় করে দাঁড়াতে পেরেছি, সহযোগিতা না থাকলে কখনোই কোন অনুষ্ঠানে করা সম্ভব হয় না,
আমাদের সদস্যদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ, যেভাবে এই গরমে ও রৌদ্রে সকাল ১১ টা থেকে এখনো পর্যন্ত নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। শ্রী দিগম্বর জৈন সমাজের পাশে যারা আজ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, এবং যে সকল সদস্যরা সারাদিন পরিশ্রম করে চলেছেন,
তাহাদের মধ্যে ছিলেন, অমিত জৈন সিএ, আনন্দ জৈন সিএ, সতীশ চন্দ্র জৈন, সুরেন্দ্র জৈন, নবীন জৈন, গিরিশ জৈন ,আশীষ জৈন ,অরূপ জৈন, নীতিশ জৈন, ববি জৈন, সঞ্জীব জৈন সিএ, মন্টি জৈন , সঞ্জয় জৈন ,পঙ্কজ জৈন, মনোজ জৈন, বিশাল জৈন, সৌরভ জৈন, দ্বীজেন পাত্র, লিটন , রাজীব জৈন সহ জৈন সোসাইটি মেম্বাররা।
উদ্যোক্তাদের একটি কথায় বারবার কানে আসে, ভগবানের ইচ্ছে থাকলে ও প্রভুর ইচ্ছা থাকলে, আমরা মানুষের হাতে আরো বেশি কিছু তুলে দিতে পারব আগামী দিনে।