পুলিশ বলছে, স্ত্রীর পরকীয়া ও সৌদি প্রবাসী শাশুড়ির পাঠানো তিন লাখ টাকা না পেয়ে দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা চা বিক্রেতা রুবেল হোসেন তার শ্বশুরবাড়ি ঘরজামাই থাকতেন। তার শাশুড়ি কমলা বেগম পাঁচ বছর ধরে সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকার কাজ করছেন। এ অবস্থায় মেয়ের নামে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতেন। দীর্ঘদিন ধরে সেই টাকা জামাইয়ের হাতে থাকতো। এছাড়া রুবেলের স্ত্রী বিভিন্ন সময় মুঠোফোনে কথা বলতেন। এ কারণে স্ত্রী পরকীয়া করেন বলে রুবেল সন্দেহ করতেন।
গত সোমবার (২৭ মে) সকালে স্ত্রী নিজ বাড়িতে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। এসময় রুবেল ফোনে কথা বলা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ফোনটি ভেঙে ফেলেন। এরপর সৌদি প্রবাসী শাশুড়ির পাঠানো তিন লাখ টাকা চেয়ে না পেয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করলে স্ত্রী মিতুর চিৎকারে খালা শাশুড়ি আলেয়া বেগম ছুটে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন রুবেল। তখন আলেয়ার ছেলে নীরব হোসেন তার মা ও খালাতো বোনকে বাঁচাতে এলে তার হাতে ছুরিকাঘাত করে রুবেল পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা রুবেলের স্ত্রী মৌ আক্তার, তার খালা আলেয়া বেগম ও নীরব হোসেন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক আলেয়া বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রী মিতুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে পাঠানো হলে পথিমধ্যেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার নিহত আলেয়ার ছেলে সজিব আকন্দ বাদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, রুবেল মুঠোফোন ব্যবহার করতেন না। এ কারণে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনার পাঁচ দিন পর বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মাসুন্দি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।