বাংলা সঙ্গীতাঙ্গণের এক উজ্জল নক্ষত্রের “কনকচাঁপা” অসংখ্য গান গেয়ে মানুষের মন জয় করে আছেন তিনি। আজ ১১ সেপ্টেম্বর এ কণ্ঠশিল্পীর জন্মদিন। ১৯৬৯ সালের আজকের এই দিনে ঢাকার শান্তিবাগে জন্ম কনকচাঁপার। তার দাদার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে। তবে কনকচাঁপার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। তার বাবার নাম আজিজুল হক মোর্শেদ। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে কনকচাঁপা তৃতীয়। অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে তিনি বাংলা গানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। চলচ্চিত্র, আধুনিক গান, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতিসহ সবধরনের গানে কনকচাঁপা সমান পারদর্শী। তিনি ৩৩ বছর ধরে সংগীতাঙ্গণে কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত চলচ্চিত্রের তিন হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কনকচাঁপা। তার প্রকাশিত একক গানের অ্যালবাম সংখ্যা ৩৫।
গানের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও কনকচাঁপার সুখ্যাতি রয়েছে। ২০১০ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘স্থবির যাযাবর’, ২০১২ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘মুখোমুখি যোদ্ধা’ ও ২০১৬ সালের অমর একুশে বইমেলায় ‘মেঘের ডানায় চড়ে’ নামে তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে কনকচাঁপার। কনকচাঁপা বিখ্যাত কণ্ঠশীল্পি বশীর আহমেদের ছাত্রী। দীর্ঘদিন তার কাছে উচ্চাঙ্গ, নজরুল সঙ্গীতসহ অন্যান্য ধারার সঙ্গীতের ওপর তালিম নিয়েছেন তিনি। কনকচাঁপার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন..’, ‘তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই’, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে জীবনে অমর হয়ে রয়’, ‘আমার নাকেরই ফুল বলে রে তুমি যে আমার’, ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’, ‘আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে’, ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’, ‘তুমি আমার এমনই একজন’ ইত্যাদি। গানের জন্য রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া তিনি বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার, দর্শক ফোরাম পুরস্কার, প্রযোজক সমিতি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। সঙ্গীতাঙ্গণের পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত কনকচাঁপা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।