পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রাম থেকে মেদনীপুরের অনাথ আশ্রম বা কলকাতার রাজপথের পাশের ফুটপাতে বসবাসকারী মানুষজন অনেকেই তাদের এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত । দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন অব্দি তাদের এই পুজোর উপহার প্রদানের কাজ চলবে। শুধুমাত্র পুজোর আগে নতুন জামা কাপড় দেওয়া না,
পুজোর দিনগুলিতে সমাজের বিভিন্ন অবহেলিত মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতেও উদ্যোগী হয়েছে “শারদীয়া” । আর শারদীয়ার এই কর্মসূচির তারা নাম দিয়েছে শারদীয়া’র আনন্দধারা । কোনরকম বিদেশি বা বহুজাতিক সংস্থার বিনিয়োগ ছাড়া সম্পূর্ণভাবে নিজেদের প্রচেষ্টায় তারা এই কর্মকাণ্ডের অর্থভার বহন করে চলেছে ।
যার হাত ধরে দীর্ঘ ১৩ বছর আগে শারদীয়া পথ চলা শুরু করেছিল সেই সৌমন কুমার সাহা জানালেন “স্বার্থহীন সামাজিকতার এই দায়বদ্ধতাকে বয়ে নিয়ে যেতে আমরা সকলেই বদ্ধপরিকর । তাই পূজোর খরচ একটু বাঁচিয়ে যদি এইসব অবহেলিত মানুষগুলোর মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারি তাহলে সেটাই আমাদের চরম প্রাপ্তি, এবং আমরা বিশ্বাস করি শুধুমাত্র একটা জামা কাপড় দিয়ে বা একবেলা কাউকে খাইয়ে এই সমস্যার কোন সমাধান হবে না । তাই দীর্ঘ কিছু বছর ধরে আমরা বিদ্যারত্ন স্কলারশিপ নামে একটি প্রকল্প চালু করে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় সাহায্য করছি যাতে তারা ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারি
এবং সর্বোপরি এই সামাজিক দায়বদ্ধতাকে বহন করে নিয়ে যেতে পারে।” শুধুমাত্র দুর্গাপুজোতেই না সারা বছরই বিভিন্ন রকমের সমাজসেবামূলক কাজের সাথে যুক্ত থাকে এই শারদীয়া চারিটেবল ট্রাস্ট এবং তারা বর্তমানে সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ২৫ টির বেশি বৃদ্ধাশ্রম অনাথ আশ্রম সাথে সরাসরি ভাবে যুক্ত ।