পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় তথ্য গোপন করে বাল্যবিয়ের চেষ্টায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বাবা ও বাল্যবিয়েতে সাহায্য করার অপরাধে এক নারীকে আটক করেছে দুমকি থানা পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীন মাহমুদ।
তিনি বলেন, বয়স গোপন করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বিয়ে, জাল জন্মনিবন্ধন তৈরি ও শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাঁধা২ দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে মেয়ের বাবাকে ছয় মাস ও বিয়েতে সহযোগিতাকারীকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের রুহুল আমিন সিকদার (৫৫) ও আব্দুল মজিদ চৌকিদারের মেয়ে তাসলিমা (৩০)।
সূত্রে জানা যায়, দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলগী গ্রামের রুহুল আমিন সিকদারের মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাবালিকা মেয়ে মোসা. রুমানা আক্তারের জন্ম নিবন্ধন সনদে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে বয়স বাড়িয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে মো. রিপন হাওলাদারের সঙ্গে গত ০৬ আগস্ট পটুয়াখালী নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিট এর মাধ্যমে বিবাহ দেন।
পরে মেয়ের নিজ বাড়িতে ছেলে রিপন ও তার বাবাসহ লোকজন এলে এলাকাবাসী অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে দুমকি থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের বাবা রুহুল আমিন সিকদার ও বিবাহ কার্যে সহায়তাকারী মোসা. তাসলিমা বেগমকে আটক করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছেলের পক্ষ সটকে পড়ে।