আশিকুর রহমান, কলমাকান্দা প্রতিনিধি (নেত্রকোনা)
আবার জেগে উঠবে তারা— ——ফারিহা সুলতানা__
___ মা মরে যাওয়ার পর বাবাই ছিল আমাদের একমাত্র ছায়াতল কিন্তু ১৯৭১ সালে আগষ্টের শুরুতে ৮মাস বয়সী ভাইটিকে আর আমাকে বিদায় জানিয়ে বাবা রাইফেলটি হাতে নিয়ে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। অনেকদিন পর বাবা ফিরে না আসায় আমি প্রতিটা ক্যাম্পে বাবাকে খুঁজেছি কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনি।অবশেষে,নিরাশ হয়ে বাড়ি ফেরার পথে করিম চাচা আমার দিকে একটি চিরকুট তুলে দেয় যেটাতে লিখা ছিল, “শুন মা, আমি তোদের ছেড়ে চলে যাইনি। যেদিন বিজয়ের উল্লাসে ঘর থেকে বের হবি সেদিন আমাকে পূর্ব আকাশে দেখতে পাবি। ইতি তোর বাবা।” চোখের অশ্রুটুকু মুছতে মুছতে বাড়ি ফিরে দেখি আমার ছোট ঘরটিকে আগুনে নির্মমভাবে দখল করে নিয়েছে। আগুনের জ্বলন্ত শিখায় শিখায় ভেসে আসছে আমার নিষ্পাপ ভাইটির আর্তনাদ কিন্তু ভাইটিকে আর একটি নজর দেখতে পেলাম না,সে কালো ধুঁয়ার সাথে মিশে আমাকে বিদায় জানিয়ে লুকিয়ে যাচ্ছে বিশাল আকাশটির আড়ালে। তবে, সেও হয়তো একদিন বাবার সাথে পূর্ব আকাশে জেগে উঠবে। কবি পরিচিতি : কবি ফারিহা সুলতানা ১০-ই ফেব্রুয়ারী ২০০৪ সালে গাজীপুর গ্রামের খালিয়াজুরী থানার, নেএকোনা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার সামসুর রহমান এবং মাতা জহুরা বেগম। উনার ছোট বেলা থেকে বাংলা সাহিত্যের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি তিনি বেশ কিছু গল্প, কবিতা ও ছোট গল্প লিপিবদ্ধ করছেন। তবে সম্প্রতি উনার লিখা গুলো ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। উনার লিখা ১’ম প্রকাশিত গ্রন্থ কবিতার প্রেম বিরহ । পাশাপাশি বিভিন্ন সাহিত্য ক্লাবে উনার লেখাগুলোর স্থান পেয়েছে সর্বোচ্চ আসনে। আমরা বাংলাদেশ সাহিত্য পরিবার আশাবাদী কবি তাঁর বিদ্রোহী লেখা গুলো ধারা একসময় আমাদের নতুন প্রজন্মেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে জাতিকে উৎসাহ যোগাবে। কবি বর্তমানে নেএকোনা জেলার সুনামধন্য স্কুল:সি.টি.এম একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত আছেন।