পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বর্তমান কমিটি গত এক বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব উত্থাপন করা হয়।
চলতি বছরে ডিআরইউ আয় করেছে মোট ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৯০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে মোট ৩ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২০ টাকা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ কার্যালয়ের সামনে সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়।
বার্ষিক সাধারণ সভায় জানানো হয়, গত এক বছরে ১০ জন সদস্য হারিয়েছেন। তাদের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে আর্থিক আয় বিবরণীতে জানানো হয়, গত ২৭ নভেম্বরের অডিট বিবরণী অনুযায়ী বিদায়ী বছরে ডিআরইউ আয় করেছে মোট ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৯০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে মোট ৩ কোটি ৮১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২০ টাকা। এ বছর ঘাটতির পরিমাণ মাত্র ৪ লাখ ২ হাজার ১৩০ টাকা। গত বছরে একই সময়ে আয় ছিল ২ কোটি ৯৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৭৯ টাকা। সে হিসাবে এ বছর আয় বেড়েছে ৮০ লাখ ৮৩ হাজার ২১১ টাকা। আগের বছর খরচ ছিল ৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬৫ টাকা।
অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৬ টাকা ঘাটতি ছিল। তবে এ বছর ঘাটতির পরিমাণ অনেক কমানো হয়েছে। অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘাটতি থাকলেও হাতে নগদ আছে প্রায় ৭ লাখ টাকা।
সভায় ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় ছোট একটি রুমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম চলে আসছে। বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যদের সহযোগিতায় একই ভবনের চার তলায় বিশাল আকৃতির একটি ফ্লোরে অফিস স্থানান্তর করে। ১০ আগস্টের পর থেকে নতুন কার্যালয় ব্যবহার শুরু করা হয়। যে অফিসটি গতকাল ২৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি।
নতুন কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অফিস রুমের আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ের জন্য পৃথক রুমের পাশাপাশি সম্পাদকদের বসার পৃথক রুমের ব্যবস্থা করা হয়।
এছাড়া ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবনের পেছনে ডিআরইউ তিন নম্বর ভবন উদ্বোধন করা হয়। সেখানে স্টিল স্ট্রাকচার এর ৫ তলা ভবন পরিকল্পনা করা হয় এবং তৈরি করা হয়েছে নকশা। এ ভবনের নিচ তলায় কমার্শিয়াল, দ্বিতীয় তলায় নামাজের স্থান এবং তৃতীয় তলায় অবস্থা রেখে নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। বাকি দুটি ফ্লোরে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ও স্টাফদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, দায়িত্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সঙ্গে সংগঠনের সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সময়, মেধা, শ্রমে প্রিয় সংগঠনের সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা হলেও নতুন মাত্রা যোগ করতে পেরেছি। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে অচিরেই ডিআরইউ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত হবে। আমাদের কমিটি যেটুকু সাফল্য অর্জন করেছে তার সবটুকু কৃতিত্ব আপনাদের।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম সামীম, সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী সম্পাদক মাহমুদা ডলি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত কুমার সাহা, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা), সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ ও কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ।
এছাড়া ডিআরইউয়ের সিনিয়র সদস্যসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।