১৬ই ডিসেম্বর সোমবার, ঠিক বিকেল তিনটায়, পার্ক স্ট্রীটের সংযোগস্থলে, দ্য পার্ক হোটেলের রোজউড ব্যাংককুইটে, পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ডের উদ্যোগে প্রেস কনফারেন্স করলেন, আসন্ন ৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার। যাহার শুভ সূচনা হতে চলেছে, আঠাশে জানুয়ারি ঠিক বিকেল চারটায় বইমেলা প্রাঙ্গণে। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন,
পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলার্স গিল্ড এর প্রেসিডেন্ট ত্রিদিব কুমার চ্যাটার্জী, জেনারেল সেক্রেটারী সুধাংশু শেখর দে, কলকাতার গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউট এর ডিরেক্টর ম্যাডাম অ্যাস্ট্রিড ভেগে, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মিলিন্দ দে, রনিত দাস গুপ্তা, সৌরভ বাগচী, শিলাদিত্য সরকার, সুদীপ্ত দে ,সহ অন্যান্যরা। আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে, বইমেলার বিভিন্ন দিক তুলে ধরলেন, মঞ্চে উপস্থিত অতিথিবৃন্দরা, এই বইমেলার শুভ সূচনা আঠাশে জানুয়ারি ঠিক বিকেল চারটায়, বইমেলার শুভ সূচনা করবেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন,
সম্মানীয় অতিথি হিসেবে ফোকাল থিম কান্ট্রি জার্মান, উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের কবি, সাহিত্যিক, গুণীজন ও মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়রা। বইমেলায় থাকছে, লিটল ম্যাগাজিন সহ ছোট, মাঝারি ও বড় প্রকাশকদের স্টল ও টেবিল সব মিলিয়ে প্রায় হাজারের বেশি।। তবে গতবারের তুলনায় এবারে স্টলের সংখ্যা বাড়ছে না। তবে এবারের বইমেলা খোলা আকাশের নিচে হবে বলে জানিয়েছেন, কোন রকম ফল থাকছে না,যেখানে প্রধানত ইংরেজি বইয়ের প্রকাশনারাও উপস্থিত থাকতেন ,তার জায়গায় তাদের জন্য বিশেষ স্থান চিহ্নিত করা হচ্ছে। বিভিন্ন সুবিধার্থে স্টলের ভাড়া অনেকটাই কমানো হয়েছে।, কারণ এবারের বইমেলায় নিজেদের স্টোল নিজেরাই বানিয়ে নেবেন । ৪ঠা ফেব্রুয়ারী উদযাপিত হবে সিনিয়র সিটিজেন দিবস ,চির তরুণ উদযাপন, লেখক প্রকাশক ও পাঠক কে নিয়ে আলোচনা সভা, ২রা ফেব্রুয়ারী পালিত হবে শিশু দিবস। এবারের বই মেলায় নটি গেট থাকছে,
প্রতিটি দিয়েই মেলায় ঢোকা ও বেরোনোর ব্যবস্থা থাকছে, একটি গেট হচ্ছে জার্মান সাহিত্যিক গ্যোয়েটের নামে ,আরেকটি গেট জার্মান ভাষাবিদ ম্যাক্স মুলারের নামে। আর বইমেলায় উদযাপিত হবে, নারায়ণ সান্যাল, সলিল চৌধুরী, ঋত্বিক ঘটক, তপন সিনহা, অরুন্ধতী দেবীর জন্ম শতবর্ষ এবং কাজী নজরুল ইসলাম ও জীবনানন্দ দাশের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী পূর্তি। কলকাতা বইমেলার জন্য একটি অ্যাপ খুব শীঘ্রই চালু হচ্ছে, এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি, এই অ্যাপের মাধ্যমে গুগল লোকেশন অনুযায়ী মেলার মধ্যে যেকোন স্টল খুজে পাওয়ার সুবিধে পাওয়া যাবে বলে জানান,
এই কলকাতা বইমেলা সরাসরি ভার্চুয়ালি দেখা যাবে সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ও ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে। এবং কিউ আর কোড স্ক্যান করে, মেলা ডিজিটাল ম্যাপ এবং অংশগ্রহণকারীদের তালিকা পেয়ে যাবেন, মেলার সব গেটে থাকবে এই কিউ আর কোড। মেলায় health partner হিসাবে থাকছে পিয়ারলেস হসপিটাল, থাকছে মেঘবেলা ব্রডব্যান্ড, মেলায় অংশগ্রহণ করছেন কুড়িটি দেশ, বইমেলায় হসপিটালিটি পার্টনার নোভোটেল হোটেল, অফিসিয়াল ব্যাংকার হিসেবে থাকছেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, গ্রীন পার্টনার ন্যাশনাল জুট বোর্ড, বইমেলা অন্যতম আকর্ষণ লিটারেচার festival শুরু হবে ৬ই ফেব্রুয়ারী থেকে ৮ই ফেব্রুয়ারী, এবারে বইপ্রেমীদের জন্য অফার থাকছে,, বই কিনুন লাইব্রেরী জিতুন.. ..।
প্রতিবারের মতো থাকছে কেনাকাটার উপর প্রতিদিন লটারি , ভাগ্যবান বিজেতারা পাবেন বুক গিফট কুপন। সর্বশেষে প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারী জানালেন, আমরা কৃতজ্ঞ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, কৃতজ্ঞ ফায়ার বিগ্রেড, পরিবহন দপ্তর, ইলেকট্রিক সাপ্লাই, প্রশাসনিক বিভাগ,
মেট্রো রেল, তোহ অন্যান্য পরিষেবার কাছে, যাহা দিয়ে সহযোগিতায় এই আন্তর্জাতিক বইমেলা আলোকিত হয়ে ওঠে, বইপ্রেমী রা মেলায় ভীড় জমায়, দূর দূরান্ত থেকে বইপ্রেমীরা এই আন্তর্জাতিক বইমেলায় তাদের পছন্দসই বই কিনতে সুযোগ পায়। কৃতজ্ঞ সমস্ত দেশ বিদেশের পাবলিশার্সদের কাছে, যাহারা এই বইমেলায় অংশগ্রহণ করছেন। সবাই আসুন বই কিনুন, আনন্দ উপভোগ করুন।