বাংলা সংগীত জগতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র, গীতিকার ও সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জীবন অবসান।
“সম্পা দাস,সম্পাদক, নগর টিভি, দৈনিক নগর সংবাদ, নগর সংবাদ ২৪ ডটকম “”কলকাতা বু্রো”
১৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার, বার্ধক্য জনিত দীর্ঘ অসুস্থতার পর আজ সকালে, ৮৩ বছর বয়সে এস এস এ কে এম হাসপাতালের মেন ব্লকে জীবনে অবসান হয়, বাংলায় গান গাওয়া বন্ধ করে লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে সুর লোকে চলে গেলেন কিংবদন্তী শিল্পী ও গীতিকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়। সবাই আরো একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারালো, যাহার গান সকলের মুখে মুখে আন্দোলিত হয়েছিল ,…আমি বাংলার গান গাই… তাহার মৃত্যুর খবর পাওয়ার সাথে সাথে, এসএস কে এম এ ছুটে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তৎপরতায়, সাথে সাথে ঘোষিত হয় বেলা দুটো নাগাদ রবীন্দ্র সদনে তাহার মরদেও আনা হবে,

এবং গান স্যালুটের মধ্য দিয়ে শেষ বিদায় জানাবেন, সেই মতো রবীন্দ্রসদনে সমস্ত রকম আয়োজন শুরু হয় এবং রবীন্দ্র সদনের মেন গেটের দিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। তাহার মরদেহ রবীন্দ্র সদনের দুপুর দুটো থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত শায়িত থাকবে। বিকেল চারটের পর মরদেহ পুনরায় এসএস কে এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ তিনি তার দেহ দান করে গিয়েছিলেন। ঠিক বেলা দুটো নাগাদ তাহার মর দেহ নিয়ে মাননীয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ইন্দ্রনীল সেন ও দোলা সেন সহ পরিবারের লোকজন সাথে নিয়ে রবীন্দ্রসদনে প্রবেশ করেন এবং একে একে মরদেহে পুষ্প স্তবক ও মালা দিয়ে শেষ বিদায় জানান। মরদের সামনে বাজতে থাকেন তার সেই বিখ্যাত গান.. আমি বাংলার গান গাই ।

বিকেল চারটে দশ নাগাদ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবেশ করেন, পরিবারের সাথে কথা বলে, মরদে মালা দিয়ে শেষ বিদায় জানালেন গান স্যালুটের মধ্য দিয়ে। এরপর পরিবারের লোকজনদের নিয়ে মরদেহ রওনা দেন এসএস কেএম হাসপাতালে। মরদের সামনে উপস্থিত ছিলেন, কলকাতা পৌরসভার মহানাগরীরক ও মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ দোলা সেন, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, কংগ্রেসের তরফ থেকে শুভঙ্কর সরকার, পরিচালক গৌতম ঘোষ, পরিচালক সুদেষ্ণা রায়,

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দল গত নির্বিশেষে বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীরা শিল্পীরা এবং তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা ও প্রশাসনের আধিকারিকরাও। ভারতবর্ষের অবিভক্ত বাংলায় প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯ ৪২ সালে বাংলাদেশের বরিশালে। তিনি খুব ছোটবেলা থেকেই সংগীত জগতে প্রবেশ করেন ও নিজে সুরে গান গাইতেন, গোঁসাই বাগানের ভূত ছবিতে তিনি নেপথ্যে শিল্পী হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি বহু গণসংগীত লিখেছেন ও গিয়েছেন, আর বহু জনপ্রিয় অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে, পাথরে পাথরে নাচে আগুন (1988 ), যেতে হবে (১৯৯৪), ওঠো হে (১৯৯৪), কুট্টুস কট্টাস (১৯৯৭), স্বপ্নের ফেরিওয়ালা (২০০০), তোমাকে দেখে দেখছিলাম( ২০০০,) , স্বপ্নপুরে (২০০২) ইত্যাদি।
তিনি গান গাওয়ার সুবাদে বহু আর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার সুযোগ পান এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি তার গানগুলি শোনানোর চেষ্টা করেন।, রবীন্দ্র সদনের ঘেরা টোপে বহু অনুষ্ঠানে তিনি গান গেয়েছেন, নতুন নতুন গান উপহার দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এরকম একজন শিল্পীকে হারালেন, তবে তাহার স্মৃতি গানের মধ্য দিয়েই সবার মুখে মুখে ধ্বনিতে হবে।
“সম্পা দাস,সম্পাদক, নগর টিভি, দৈনিক নগর সংবাদ, নগর সংবাদ ২৪ ডটকম “”কলকাতা বু্রো”