“গ্রাম আদালতেই গ্রাম্য সমস্যা সমাধান করে” চৌহালীতে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
মাহমুদুল হাসান, স্টাফ রিপোর্টার।।
স্থানীয় বিচারব্যবস্থা শক্তি শালীকরণ ও তৃণমূল পর্যায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সব শ্রেণীর মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করে হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে গ্রাম আদালত গঠনের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের (৩য় পর্যায়) কার্যক্রম শুরু । সেই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষকাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে শনিবার সকালে গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার স্যার, ডিডিএলজি স্যার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। এসময় উপস্থিত ছিলেন চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণে অংশ নেন , জেলা ম্যানেজার এবং উপজেলা কো-অর্ডিনেটর, সদিয়াচাদপুর, স্থল এবং উমারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্যগন। প্রত্যেক ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের সক্রিয়তায় শুনানি করে বিচার নিষ্পত্তির দিক দিয়ে বিভিন্ন দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধ নিষ্পত্তি সহ সকল সমস্যা সমাধান করতেই এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সচল ভাবে পরিচালিত হওয়ায় সুফল পাচ্ছেন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। ছোট খাটো বিরোধ নিরসনে জেলা-উপজেলার আদালতে আসার সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। বিচার পদ্ধতিতে ভোগান্তি থাকায় উকিল মোক্তারের পরিবর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ওপর আস্থা রাখবে সাধারণ মানুষ। অল্প সময়ে-স্বল্প খরচে স্থানীয়ভাবে ছোট ছোট বিরোধ নিষ্পত্তি গ্রাম আদালতের মূল লক্ষ্য। তাইতো সর্বস্তরের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে গ্রাম আদালত। বিবাহ বিচ্ছেদের পর মেয়ের তিন মাসের খোরপোষ সমস্যা সমাধানে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে স্থানীয় এই আদালত। উভয় পক্ষের বক্তব্য ও সাক্ষ্য-প্রমাণাদির ভিত্তিতে গ্রাম আদালত শুনানির মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গ্রাম আদালত গঠনের মাধ্যমে এলাকার সৃষ্ট বিরোধ মিমাংসা হয়ে থাকে এ আদালতে। গ্ৰাম আদালতের আইন ২০০৬ সালে ও ২০২৪ সালের সংশোধনী আইন অনুযায়ী ডিভোর্স নারী তিন মাসের খোরপোষ আদায়ের জন্য মামলা দায়ের করে। মামলার ফিস মাএ ১০ টাকা ফৌজদারি। দেওয়ানি মামলার ফিস ২০ টাকা মাত্র। চৌহালী উপজেলার প্রত্যেক সরকারি দপ্তর প্রধান, সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও সচেতন ব্যক্তিবর্গ নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ আরও গতিশীল করতে গ্রাম আদালত বিষয়ে অবহিত করেন সভা, গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে গ্রাম-গন্জে মানুষকে সচেতন ও আদালতের সুষ্ঠু কার্যক্রম জনগণের দৌড় গড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন