ঈদের নামাজ পশু কোরবানী করে সারা দেশে পালিত হল পবিত্র ঈদুল আযহা ঈদ উৎসব
””সম্পা দাস,–সম্পাদক,দৈনিক নগর সংবাদ,নগর সংবাদ ২৪ ডটকম,নগর টিভি, কলকাতা ব্যুরো””
৭ই জুন শনিবার, ঠিক সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হলো রেড রোড থেকে শুরু করে বিভিন্ন মসজিদে ঈদ উৎসব পালন ও নামাজ পড়া, বিভিন্ন মসজিদে ও রেড রোডে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা নতুন পোশাক পরে আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়ার জন্য উৎসবে হাজির হন, তেমনি রেড রোডে ও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় ঈদ উৎসবে মেতে ওঠেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা, কয়েকশো মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে ঈদ উৎসব পালন করলেন। এবং একে অপরকে আলিঙ্গন করে শান্তির বার্তা দিলেন।
সকাল থেকেই বিভিন্ন মসজিদ ও রেড রোডে প্রশাসনের অফিসারেরা মতায়েন ছিলেন, যাতে কোন রকম গন্ডগোল ও অশান্তি না হয়, এবং যানবাহন নির্দিষ্ট পথে নিয়ন্ত্রণ করেন। কিছু কিছু রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কলকাতার বেশকিছু মসজিদ, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা আজকে ঈদ পালন করলেন। এর মধ্যে….. নাখোদা মসজিদ, মনসুরি মসজিদ, ফুলবাগান মসজিদ, বু আলী মসজিদ, কারবালা আয়েশা মসজিদ, জল ওয়াটুলি মীর মসজিদ, তুলিয়া মসজিদ ষোলআনা মসজিদ, মেটিয়াবুরুজ আহলে হাদিস ঈদ কমিটি(ঈদগাহ ময়দান) দ্বিতীয় জামাত , পাকসারকাস ময়দান, ২২ নম্বর খানকা শরীফ মসজিদ, বেলগাছিয়া ব্রিজ, রেড রোড, রাজাবাজার মোড়, লোহা গলি মসজিদ, লেক মসজিদ, মেওয়া মন্ডি মসজিদ, আখতার ওয়ালী মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, এন্টালি পদ্মপুকুর মসজিদ, ছোটা করিম মসজিদ, ছুলিয়া মসজিদ সহ অন্যান্য মসজিদ।
একদিকে যখন সকল মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ আল্লাহর কাছে ধর্মের বাণী ত্যাগের বাণী নিয়ে প্রার্থনা জানাচ্ছিলেন। অন্যদিকে দেখা গেল একটু অন্যরকম চিত্র, সরকারি ছুটি থাকায় জনবহুল মার্কেট গুলি শুনশান, একদিকে প্রচন্ড গরমে ঈদ পালন অন্যদিকে রাস্তাঘাটে লোক না চোখে পড়ার মতো। মার্কের রাস্তাঘাট নয়, মেট্রোতে ও অন্যান্য দিনের তুলনায় মেট্রো জাত্রী অনেক কম। মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিবারের মানুষেরা, ঘরে ঘরে আজ ঈদের উৎসবে মেতে উঠেছেন।
মসজিদে ঈদ পালন করলেন নামাজ পড়ে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে, তার মহানগরীক ও মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম।
মসজিদ থেকে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তিনি বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন,তিনি প্রথমে জানান, আজ সারা দেশবাসীর জন্য আল্লাহর কাছে শান্তির জন্য দোয়া চাইলাম। যেখানে যেখানে অশান্তি হচ্ছে সেগুলো যাতে বন্ধ হয় তার প্রার্থনা জানালাম, প্যালেস্টাইনে জাতে শান্তি ফিরে আসে তারও প্রার্থনা জানালাম, এবং শান্তিতে যাতে ভারতবাসী থাকতে পারে তাহার জন্য আমি আল্লাহর কাছে দোয়া চাইলাম। ভারতের দিকে রক্তচক্ষু নিয়ে যাতে না তাকাতে পারে তাহার জন্য দোয়া চাইলাম। হিংসা, মারামারি, কাটাকাটি চায়না, সবাই শান্তি চায়।
এর সাথে স্থানের যুদ্ধ নিয়ে ও সিঁদুর নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর বড় কিছু নয়, বরং একটা বড় দেশের ভয়ে সেনাবাহিনীকে আটকে দিয়েছে কাপুরুষের মতো, গায়ে মানে না আপনি মরল, ভারত বর্ষের সেনাবাহিনী তারা তাদের জীবন দিয়ে তাদের সামর্থ্য দিয়ে যোগ্য প্রমাণ দিয়েছে, আমি তাদের স্যালুট জানাই,
মহিলাদের নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, বিজেপি পার্টি হচ্ছে মহিলা বিদ্বেষী, মনের মধ্যে নোংরা ও অন্যায় আছে। কে কি পারবে বড় কথা নয়, নারী স্বাধীনতাই বড়ো, সর্ব ধর্মের সমন্বয়ে আমরা, প্রকৃত হিন্দু যারা তারা অন্য ধর্মকেও একইভাবে সম্মান দেবে, ভেদাভেদ থাকবেনা, উদাহরণ স্বরূপ বলেন, আমি মসজিদে নামাজ পড়ি, কিন্তু আমার পাশেই দুর্গাপুজো হয়, আর এটাই হওয়া দরকার।, ভেদাভেদ না রেখে, যে যার ধর্ম সে তার কাছে,২০ শে জুন প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় আসা নিয়ে জানতে চাইলে, এটা ২৬ এর ভোটের লক্ষ্য, তাহার উত্তরে বলেন , তিনি আসছেন আসতেই পারেন, আর টার্গেট হলো কিছু যাবে আসবে না, ২০২১ ও এসেছিলেন কিছু লাভ হয়নি, এবারেও যদি ছাব্বিশে নিয়ে আসেন, কিছু লাভ হবে বলে মনে করি না, সবাই মা মাটির মানুষকে চায়, কাজের মানুষ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে চায়। দেশের জনগণ কাজ দেখে ভোট দেয়।
””সম্পা দাস,–সম্পাদক,দৈনিক নগর সংবাদ,নগর সংবাদ ২৪ ডটকম,নগর টিভি, কলকাতা ব্যুরো””