সোমবার ১৪ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৮:০২
শিরোনামঃ
Logo কলকাতা প্রেস ক্লাব অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস পশ্চিমবঙ্গ শাখার আয়োজনে-জাতীয় প্রেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। Logo ছাত্রদল নেতা জাকির খানের কারামুক্তি, শহরজুড়ে মহড়া-নেতাকর্মী ও অনুসারীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে তাকে বরণ করেন Logo হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবার দেশ,আমরা শান্তির-শৃঙ্খলা চাই, হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না-সেনাবাহিনী প্রধান  Logo চৈত্র সংক্রান্তি আমাদের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার শিক্ষা দিয়ে থাকে Logo শিবপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর গলা টিপে হত্যার অভিযোগ, স্বামীর বিরুদ্ধে Logo ১৭ বছর পর শিল্পাঞ্চলখ্যাত ফতুল্লার ঐতিহাসিক ডিআইটি মাঠে ফতুল্লা থানা বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত-জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা Logo ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত ১৫ দিনব্যাপী ‘বৈশাখী মেলা-১৪৩২ ও সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব-২০২৫’ আয়োজন Logo নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে”ত্রিপল মার্ডার” একই পরিবারে ২ নারী ও ১ শিশুর খণ্ডিত বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার-হত্যাকারী নিহত লামিয়ার স্বামী ইয়াসিনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন,৫দিনের রিমান্ড রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত Logo সাভারে অনলাইনে সম্পর্কের সূত্রে খুন-যুবককে ৯ টুকরা করে হত্যা, প্রেমিকাসহ গ্রেফতার ২ Logo টাঙ্গাইল জেলা সমিতি, নারায়ণগঞ্জ’র ঈদ পুনর্মিলনী ও দোয়া অনুষ্ঠিত

সফল মা- সেলাই মেশিন চালিয়ে ছেলে বিসিএস ক্যাডার করলেন।

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর, ১১, ২০২১, ১০:২৭ অপরাহ্ণ
  • ৫৮৬ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

নগর সংবাদ।। সফল মা- সেলাই মেশিন চালিয়ে ছেলে বিসিএস ক্যাডার করলেন। অভাবের সংসার ছিল তারাপদ সরকারের। মাছের ব্যবসা করতেন তিনি। বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ কিনে বিক্রি করতেন হাটবাজারে। সেই মাছ বিক্রির রোজগারের টাকা দিয়ে চলতো সংসার ও ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া। ২০০৬ সালে হঠাৎ দুর্যোগ নেমে আসে তার পরিবারে। সাতক্ষীরার ত্রিশমাইল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তারাপদ সরকার। এতে বেসামাল হয়ে পড়ে তার পারিবার। ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়ে যায়। বাবা মারা যাওয়ার পর ভারাক্রান্ত মন নিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন ছেলে লালটু সরকার।

সেলাই মেশিন চালিয়ে ছেলেকে লেখাপড়ার খরচ দিয়েছেন মা। পাশাপাশি টিউশনি করেছেন লালটু। সেদিনের লালটু সরকার ৩৮তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডারে সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় হয়েছেন। লালটু সাতক্ষীরার তালা সদরের মাঝিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভাই-বোনের মধ্যে লালটু ছোট। বড় বোন দিপালী সরকার থাকেন স্বামীর বাড়িতে। মা সুলতা সরকার থাকেন গ্রামের বাবার রেখে যাওয়া কুঁড়েঘরে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) ৩৮তম বিসিএসের ফল প্রকাশ হয়েছে। ফলাফলে লালটু সরকার সারা দেশের মধ্যে শিক্ষা ক্যাডারে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। বুধবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় আলাপ হয় লালটু ও তার মা দিপালী সরকারের সঙ্গে। এ সময় অসহায় হয়ে পড়া দিনগুলোর কথা বলে আবেগাপ্লুত হন মা-ছেলে।

দিপালী বলেন, ২০০৬ সালে লালটুর বাবার মারা যাওয়ার পর খুব অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। দিন চলতো না ঠিকমতো। খেয়ে না খেয়ে থেকেছি। এরপর একটি বেসরকারি সংস্থা একটা সেলাই মেশিন দেয়। সেই সেলাই মেশিনের হাতের কাজ করে উপার্জনের টাকা দিয়ে সংসার চলতো। ছেলে লেখাপড়া শিখতো। খুব বেশি খরচ ছেলেকে কোনোদিন দিতে পারিনি। তবে চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো। ছেলে বিসিএস ক্যাডার হয়েছে। তবে এটি কি জিনিস আমি বুঝি না। তবে ছেলে বলেছে ভালো চাকরি পেয়েছে। আমাদের আর অভাব থাকবে না। খুব খুশি হয়েছি। ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। লালটু ২০০৭ সালে তালা বিদে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৪ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

এরপর ২০০৯ সালে তালা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৪.৬০ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে দর্শন বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে ২০১৩ সালে অনার্স ও ২০১৪ সালে মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।  অসহায়ত্বের দিনগুলোর কথা তুলে ধরে লালটু বলেন, এসএসসি পরীক্ষার এক বছর আগে বাবা মারা যান। বাবা মারা যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। কি করব বুঝতে পারছিলাম না। তবে লেখাপড়া চালিয়ে গেছি। অভাবের মধ্যেই বেড়ে উঠেছি। এইচএসসি শেষ করে তালা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর টাকার অভাবে চারটি টিউশনি করেছি। সেই টাকায় শেষ করেছি লেখাপড়া। মা-বোন সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছে আমাকে।

মা-ই আমার একমাত্র সম্বল। লালটু বলেন, মাস্টার্স শেষ করার পর বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা দিয়েছি। বার বার ব্যর্থ হয়েছি। তবে আমি স্বপ্ন দেখতাম বিসিএস ক্যাডার হব। ২০১৭ সালে ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো। পরীক্ষা দিয়েই বুঝেছিলাম আমার নাম আসবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলাম। এরপর দৈনিক ১৮-১৯ ঘণ্টা পড়ালেখা করতাম। অবশেষে শিক্ষা ক্যাডারে সারা দেশে তৃতীয় হয়েছি। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। বিসিএস উত্তীর্ণ হওয়ার পর অনুভূতি জানিয়ে লালটু বলেন, পরিশ্রম করলে সব সম্ভব। আমি চেষ্টা করেই আজ সফল হয়েছি। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমি খুব খুশি।

এখন সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার ওপর আসা রাষ্ট্রের সরকারি দায়িত্ব পালন করতে চাই। সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। এছাড়া বর্তমানে ফরিদপুরের সদরপুর মহিলা কলেজের প্রশাসন হিসেবে দায়িত্বে রয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য শেখ সিদ্দিক হোসেন বলেন, পরিবারটি খুব অসহায়। মা খুব কষ্ট করে ছেলেটিকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। লালটু নিজেও অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে আজ বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন। এলাকার সুনাম বয়ে এনেছেন। তার এমন ফলাফলে এলাকার মানুষ আনন্দিত।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell