তফসিল নিয়ে আমরা শিগগিরই বৈঠকে বসছি’ সেখানেই চূড়ান্ত হবে কারা রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন-নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
ঢাকা প্রতিনিধি।।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা বা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা কারা হবেন, এটা নিয়ে কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। তবে সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এ বিষয়ে বলেন, তফসিল নিয়ে আমরা শিগগিরই বৈঠকে বসছি। সেখানেই চূড়ান্ত হবে কারা রিটার্নিং কর্মকর্তা হবেন। বিভিন্ন মহল এবং আমাদের কর্মকর্তাদের ভেতর থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি উঠেছিল। এ নিয়ে আমরা আলোচনাও করেছি। বলা হচ্ছিল যে অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার জন্য। আমরা আলোচনা করে দেখলাম, কারা অভিজ্ঞ সে বিষয়টি নির্ধারণ করতে গেলে আমাদের কর্মকর্তাদের মধ্যেই একটি বিভাজন তৈরি হতে পারে। একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তাই বাস্তবতা বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারির ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করতে চায় ইসি। এজন্য আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করার কথা ভাবছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের কাজ। ভোটার তালিকার কাজও শেষ। নির্বাচনী আচরণ সংশোধন হয়ে গেছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অধিকতর সংশোধনের কাজও চলছে। অন্যদিকে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য মুদ্রণের কাজে বিজি প্রেসকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন নির্বাচন উপকরণ কেনাও শেষ করেছে ইসি। শেষ হয়েছে নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিবন্ধনের কাজ।
নির্বাচনে সম্ভাব্য ভোটার ধরা হয়েছে বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এদের মধ্যে এক হাজার ২৩৪ জন হিজড়া ভোটারও রয়েছেন। পুরুষ ভোটার দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন। আর নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন। তবে এই সংখ্যা কিছুটা বাড়তে-কমতে পারে। এবার দেশের ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭ এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২ কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ মোট কক্ষের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এছাড়া অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি