নগর সংবাদ।।সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বকেয়াসহ সব রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০২০ সালের ৮ নভেম্বর দেওয়া হাইকোর্টের এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) প্রকাশ করেছেন আদালত। রায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এ নির্দেশ প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জনগণের ন্যায্য পাওনা বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত। ঘোষিত হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে এমন মন্তব্য করেছেন আদালত।
এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ রায় দিয়েছিলেন।
রায়ে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু অ্যামাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবধরনের রাজস্ব আদায় এবং বকেয়াসহ রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মো. মাজেদুল কাদের, ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক ও ব্যারিস্টার সাজ্জাদুল ইসলাম।
তাদের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানান রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবীর পল্লব। সরকারের রাজস্ব আদায়ে ভূমিকা পালনের জন্যে আদালত রিটকারী আইনজীবীদের বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
রায়ে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, অ্যামাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সবধরনের লেনদেন থেকে মূসক, টার্নওভার কর সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর এবং আয়কর দেওয়াসহ সব ধরনের রাজস্ব আদায় এবং বকেয়াসহ রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া ছয় মাস পরপর গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, অ্যামাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের লেনদেন থেকে মূসক, টার্নওভার কর সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর এবং আয়কর দেওয়াসহ সকল ধরনের রাজস্ব আদায় করে হলফনামা জমা দিতে রাজস্ব বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হলো।
রায়ে আদালত বলেছেন, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ৪ ধারা অনুসারে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, অ্যামাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে মূসক নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। এছাড়া ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৪ এর ধারা ৭৫ মোতাবেক গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইয়াহু, অ্যামাজনসহ অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দিতে বাধ্য।
২০১৮ সালে একটি পত্রিকার প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের, ব্যারিস্টার মো. সাজ্জাদুল ইসলামসহ ছয় জন আইনজীবী। তারা জনস্বার্থে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন।