নগর সংবাদ।। রিপোর্ট :আশিকুর রহমান,নেত্রকোনা ,জেলা প্রতিনিধি। বলছিলাম নাজিরপুর ইউনিয়ন এর ফকির চান্দুয়াল মোহাম্মদিয়া দারুচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার কথা। নেত্রকোনা জেলায় কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন এর ফকির চান্দুয়াল গ্রামে অবস্থিত মাদ্রাসাটি।। জানা যায়, মাদ্রাসাটি ১৯৯৪ ইং এ আবুল কালাম আজাদ নামের এক অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক প্রতিষ্টা করেন। প্রতিষ্টাকালে বেশ কয়েকবছর এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ১১ জন শিক্ষক সহ সর্বমোট ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে।
তবে বর্তমানে মনে হয় পরিত্যাক্ত মাদ্রাসাটি পোকামাকড় এর বসত ঘর। বর্তমানে প্রত্যেকটা ভবনের অবস্থা খুবই জড়াজীর্ন। শ্রেণীকক্ষ ময়লা আবর্জনায় ভড়পুর। দরজা জানালা নাই বললেই চলে। মাঠে চড়ছে গরু,ছাগল।এমনকি শ্রেণীকক্ষের ভিতরেও গরু ছাগলের বসবাস। এভাবেই চান্দুয়াল এই মাদ্রাসাটির অবকাঠামোর অবস্থা বেহাল ও করুন। দেখাশুনার জন্য নেই কেউ।নেই কোনো রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাবস্থা। পাশাপাশি লেখাপড়া হতে ঝড়ে গেছে এলাকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থী।
গত সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা মিলে চান্দুয়াল এই অভিবাবকহীন পরিত্যাক্ত মাদ্রাসাটির চিত্র। উক্ত মাদ্রাসাটির প্রতিষ্টাতা ও সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত এলাকার মানুষ গুলো খুবই দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে,যার কারনে মাদ্রাসার শিক্ষক গন বিনা বেতনেই প্রতিষ্টানটি পরিচালনা করেন। আরো জানা যায়, বেশ কয়েকবার এমপি ভুক্ত করার জন্য আবেদন করলেও উপর মহল থেকে প্রতিষ্টানটির জন্য আজ পর্যন্ত মেলেনি কোনো সুখবর। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারনে মাদ্রাসাটি আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবু হালছেড়ে দেননি মাদরাসার শিক্ষকগন।
তারা সর্বোচ্ছ ছেষ্টা করে যাচ্ছেন।আবারও তাদের সামর্থ্যানুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির প্রাণ ফিরিয়ে পেতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন মাদরাসা কতৃপক্ষ ও শিক্ষকগন। এবারও এমপিও ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,বেশ কয়েকটি গ্রামের মধ্যে এটিই একমাত্র একটি দাখিল মাদ্রাসা। অযত্ন আর অবহেলায় পরিত্যাক্ত এই মাদ্রাসাটি এখন আসবাব শুন্য হয়ে পড়েছে।
নেই কোনো চেয়ার,টেবিল,নেই কোনো ব্রেন্স।। সর্বশেষে এলাকাবাসী তাদের মনের দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,আমাদের এই একটি প্রতিষ্টান ছিল যেখানে আমরা আমাদের ছেলে মেয়ে গুলোকে দিয়ে ভরসা পেতাম। আজ এই মাদ্রাসাটি অযত্ন আর অভিভাবকহীন হয়ে যাওয়ায় এই করুন অবস্থা।যার কারনে এই মাদ্রাসার আজ এই করুন অবস্থা। এলাকাবাসী ও প্রতিষ্টাতা আবুল কালাম আজাদ তাদের মনের আশা ব্যাক্ত করে বলেন, আমরা আশাবাদী যে সরকার আমাদের গ্রামের এই প্রতিষ্টানকে আবার প্রান ফিরিয়ে দিয়ে আমাদের দিকে সুনজর দিবেন আর তাই উর্ধতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।