‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছে গেছে। আমরা জনগণের কল্যাণে –কাজ করছি। উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সব শ্রেণি পেশার মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছে। বিএনপিকে কোন আশায় মানুষ ভোট দেবে? পলাতক আসামি যে দল চালায় জনগণ তাদের কি আশায় ভোট দেবে?’
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আ’লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্বকালে দেওয়া প্রারম্ভিক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এরা দেশের গরীবের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। বিদেশে বসে আরাম আয়েশে আছে। তাদের এই আয়ের উৎস কি?’
দেশের ব্যাপক উন্নয়নের পরও যারা দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এত উন্নয়নের পরও কিছু মানুষ বিদেশে ও দেশে বসে অপপ্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে, অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে।’
তিনি দেশের সুবিধাভোগী স্বার্থান্বেষী মহলের সমালোচনা করে বলেন, ‘কিছু মানুষ আছে যারা হাজার অপরাধকারীকেও অপরাধী হিসেবে দেখে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও তারা দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষ নেয়। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের জন্যই তারা মায়াকান্না করছে।’
খালেদা জিয়ার টার্গেট সব সময় তিনি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিল যে, আমি প্রধানমন্ত্রী কেন বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারবো না, শত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবো না। এসব ঘোষণার পরই গ্রেনেড হামলা হয়েছিল।’