নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, উচ্চবর্ণের ওই পরিবার এর আগেও নিম্নবর্ণের এই পরিবারের সদস্যদের ওপরে নির্যাতন চালিয়েছেন। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য বহু দূর ছড়িয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী ও উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস প্রধান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে জানা গেছে।
এরই মধ্যে খুন ও গণধর্ষণের ঘটনায় ১১ জন বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। কিশোরীর মরদেহ পাওয়া গেছে ঘরের মধ্যে। বাকিদের মরদেহ বাড়ির বাইরে উঠানে পড়ে ছিল। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ধারাল অস্ত্রের সাহায্যে চারজনকেই কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রত্যেকের শরীরেই গভীর ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিহতদের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে সমস্যা ছিল। বারবার উচ্চবর্ণের পরিবারটি নির্যাতন চালাত নিম্নবর্ণের পরিবারের ওপরে। গত সেপ্টেম্বরে বিষয়টি চরমে পৌঁছায়। ২১ সেপ্টেম্বর তাদের মারধর করা হয়। প্রায় সপ্তাহখানেক পরে মামলা করা হয়, তাও নির্যাতনের শিকার পরিবারের বিরুদ্ধেই। দেশটির উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ। তার রাজ্যে এর আগেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। হাতরস ধর্ষণ মামলায় খোদ জেলাপ্রশাসকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবারকে মামলা তুলতে চাপ দেওয়ার জন্য। পরে তাকে বদলি করে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ঘিরেও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব নিহতদের আত্মীয়রা।