নগর সংবাদ।।ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা আগামী ১২ ডিসেম্বর ফাইভ-জি’র যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। অথচ পৃথিবীর ছয় থেকে সাতটি দেশের বেশি কোনো দেশ এখনও পর্যন্ত ফাইভ-জি’তে প্রবেশ করেনি।
ফাইভ-জি আগামী দিনের বিশ্বকে বদলে দেওয়ার একটি প্রযুক্তি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পেছনে পড়া একটি দেশ। এই প্রথম পৃথিবীতে সবার আগে যে দেশগুলো প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে, তারমধ্যে বাংলাদেশ স্থায়ী আসন গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এটাকে নেতিবাচকভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই, এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ফাইভ-জি কতটা জরুরি আমি নিশ্চিত ২০২৩ সালের মধ্যে আপনারা প্রত্যেকে তা উপলব্ধি করতে পারবেন।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুরে সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি গর্বিত যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ফাইভ-জি’র মহাসড়ক তৈরি করে বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সুবর্ণ যুগের সূচনা করছে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে আমরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ প্রযুক্তির একটা দেশে রূপান্তর করতে যাচ্ছি, এটি আমাদের গর্বের বিষয়। ফাইভ-জি চালু হলে আপনি যেখানে বা যতদূরেই থাকেন, সেখানে বসে তা ব্যবহার করে ঘরের লাইট, ফ্যান, এসি ও কৃষিক্ষেত্রে পানির পাম্প চালু বা বন্ধ এমনকি জমিতে সেচের প্রয়োজন হলে তা বলে দেয়াসহ সব কাজ করতে পারবেন। এছাড়া রোবটের মাধ্যমে ঘরের কাজসহ মিল, কারখানা বা জমির কাজ রোবটের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে। আর এসবের কেন্দ্র বিন্দু হবে ফাইভ-জি।
বিএসসিএলের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মো. কামরুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন, গাজীপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক কামরুজ্জামান, বিএসসিএলের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী অনুষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। গাজীপুরের ২৫টি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত চারটি ক্যাটাগরিতে ১০১ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়।