নগর সংবাদ..মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ঃ কমলগঞ্জে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে চৈত্রঘাটে নাজমুল হাসান নিহতের ঘটনায় নেপথ্যের কাহিনী তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার আজ ৪ জানুয়ারী বিকালে। ভুক্তভোগী আংগুরা বেগম ও তার মেয়ে নার্গিস বেগম লিখিত বক্তব্য জানান- গত ৩১ অক্টোবর নাজমুল হাসান সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় তার বড় ভাই শামসুল হক বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা ( নং- ০১/১৮৩) দায়ের করেন। তার মৃত্যুর পর তাদের বাহিনীর লোকজন চৈত্রঘাট বাজারে আহাদ এন্ড সন্স নামীয় দোকানে ও গুদামে লুটপাট, নগদ টাকা, কাগজপত্র, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, পুকুরের মাছ লুট করে বিষ প্রয়োগ করে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়। বর্তমানে পিবি,আই পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছেন। তাদের ভয়ে কেউ এই সমস্ত ঘটনার স্বাক্ষী দিতে চায় না। বিগত ৩ নভেম্বর রাতে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে নগদ ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, ২৫ ভরি স্বর্ন ও মুল্যবান মালামাল লুট করে এবং মেয়েদের শীলতাহানী করে। এর পর থেকেই এ পরিবারটি বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় আদালতে আংগুরা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী আরো জানান- যোদ্ধের সময় আঙ্গুরা বেগম এর ভাসুর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ ছমরু মিয়াসহ এলাকায় অনেক ঘরবাড়ি, দোকান লোটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে নাজমুলের পরিবার। এ ঘটনা দেখে মোঃ আয়াজ উল¬্যাহ হার্ড এ্যাটাক্ট করে মারা যান। তাদের এহেন আচরন এলাকার লোকজনদের অতিষ্ট করে তুলেছিল। এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী দ্বারা দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে জমি দখল, বালু উত্তোলন, খুন, রাহাজানী, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রম অবনতিসহ পরিস্থিতির কারণে ১নং রহিমপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ পরিষদ বিগত ২১ জুন হারুনুর রশিদ, আল-আল-আমিন, রুহুল আমিন, সাইফুল ইসলাম, ওয়াশিদ মিয়া, সাজু মিয়া, শাওয়ন মিয়া, নাজমুল মিয়া, রোমান আহমদ, শামসুল মিয়া, হাছান আহমদ, শাহান মিয়া, আকলিছ মিয়া, ফারুক মিয়া, মো:মোস্তাকিনসহ ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে র্যব-৯ শ্রীমঙ্গল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলগঞ্জ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানায় জরুরী ভিক্তিতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেন। নাজমুলসহ তাদের রোগংদের বিদ্ধে মামলা (নং- ১২৬/১৪, (কমল), মামলা (নং- ১০/ ১৪ইং), মামলা (নং-১১/১৪ইং), মামলা (নং-২৭৫/১৪ কমলগঞ্জ), (মামলা নং-১৬/১৫ইং), (মামলা নং-১৭/১৪ইং) ও ১০৭ ধারায় মামলা, মামলা নং- ১৫৯/১৪, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ১৩৫/০৮, জি,আর-২৯/১৩,জি,আর-৫৯/১৩, সি,আর-২২৩/১২ইং, মের্সাস আব্দুল আহাদ এন্ড সন্স প্রতিষ্টানে চাঁদা না দেওয়ায় আব্দুল মুমিন জুয়েল, তার ভাই রাসেল ও চাচাত্ব ভাই মাসুদকে অমানবিক ভাবে মেরে মৃত ভেবে পানিতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় (মামলা নং-১৬) দায়ের করা হয়। আব্দুল মোমিন জুয়েলকে মেরে পঙ্গু করে দেয়। তার পা হাড় কেটে ফেলে পাত লাগানো হয়। মামলায় জেলে থাকার কারনে পা টি নষ্ট হওয়ার আশংঙ্খা রয়েছে। এই গংদের উপর একাধিক চাঁদাবাজি, ভূমি জবর দখল, টেন্ডার বাজি সহ একাদিক মামলা রয়েছে। চৈত্রঘাট বাজারে স,মিল, দোকান লোটপাটের পর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। জালাল মেম্বারের পুত্র নুরুল মিয়া তাদের অত্যাচারের বিচার না পেয়ে অভিমানে আতœহত্যা করেন। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করে বলেন- র্যাব-৯ এর ক্রসফায়ারে নিহত তোফায়েল মিয়া দীর্ঘ দিন যাবৎ দক্ষিন আফ্রিকা বসবাস করে আসছিলেন। উদ্দেশ্য প্রনোনীত ভাবে তাকে মামলায় জড়ানো হয়। তার বিয়ের ১১ দিনের মাথায় তিনি নিহত হন। নাজমুল হত্যার ঘটনায় যে বা যারা ঘটিয়েছে তার মূল কারন মৃত নাজমুলের অত্যাচারে এলাকার মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। এলাকার মানুষ তাদের চাঁদাবাজি, খুন খারাবি, জমি দখলে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল। এই বাহিনীর কাজ হলো এলাকায় কোন মারামারি বা ঝগড়া বিবাদ ঘটলে লুটপাট করা। নিহত নাজমুলের ঘটনায় ঢাকায় ও মৌলভীবাজারে র্যাব-পুলিশের পৃথক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল ও তার সহযোগীদের অতিথ রেকর্ড ভালো ছিলোনা মর্মে স্বীকার করেছেন।