নগর সংবাদ।।ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় রিপন বিশ্বাস নামে এক বিক্রয় প্রতিনিধি (মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ) রোববার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। রিপনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পার্শ্ববর্তী উপজেলার একটি সেতুর ওপর থেকে রাতে উদ্ধার করা গেলেও আঠারো ঘণ্টা পরেও তার হদিস মেলেনি।
জানা যায়, মাগুরা সদর উপজেলার আঠারোখাদা ইউনিয়নের কৃষ্ণবিলা গ্রামের বাসিন্দা রিপন বিশ্বাস ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। রিপনের শ্বশুরবাড়ি মাগুরা জেলার সদর থানার আলমখালি গ্রামে। তার অর্কিড (৬) ও পুস্কর (১) নামে দুটি ছেলে আছে। তিনি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কামারগ্রামে স্কুল শিক্ষক রনজিৎ কুমার দাসের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রিপন মাগুরায় অসুস্থ শাশুড়িকে দেখার উদ্দেশে বোয়ালমারীর ভাড়া বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে আবার বোয়ালমারীর ভাড়া বাসা থেকে বের হতে দেখা গিয়েছে বলে বাড়ির মালিক জানান। এরপর রাত ৯টার দিকে বোয়ালমারীর পার্শ্ববর্তী উপজেলা মুহম্মদপুর উপজেলার শেখ হাসিনা সেতুর ওপর থেকে রিপনের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। মোটরসাইকেলের পাশে সেতুর ওপর তার হেলমেটটি পড়েছিল। মোটরসাইকেলের সঙ্গে থাকা রিপনের ব্যবহৃত ব্যাগটিও উদ্ধার করা হয়। কিন্তু রিপনের কোনো খোঁজ নেই।
নিখোঁজ রিপনের পরিচিতরা জানিয়েছেন, তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। ইউরো ফার্মাসিউটিক্যালসের বোয়ালমারীস্থ ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমানের কাছ থেকে ২০ হাজার, ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের থেকে ১৫ হাজার, শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের তোতা শিকদারের থেকে পাঁচ হাজার টাকাসহ অনেকের কাছ থেকেই টাকা ধার নিয়েছিলেন।
নিখোঁজের স্ত্রী শিপ্রা বিশ্বাস সোমবার বেলা ১টার দিকে জানান, নিখোঁজের পর আঠারো ঘণ্টা কেটে গেলেও রিপনের কোনো হদিস মেলেনি। মধুমতী নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে ডুবুরি দল।
এ ব্যাপারে মুহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিরউদ্দিন সোমবার দুপুরে বলেন, খবর পেয়ে রাতে শেখ হাসিনা সেতুর ওপর থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। নিখোঁজ রিপনের স্ত্রী রোববার রাতেই মুহম্মদপুর থানায় এসে নিশ্চিত করেছেন মোটরসাইকেলটি তার স্বামীর। তবে এখন পর্যন্ত আমরা রিপনের কোনো হদিস পাইনি।