যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় আরিফুর রহমান নামে পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) পিওএন শাখায় কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হন আরিফুর রহমান। এসময় তিনি জামিনের আবেদন করেন। তবে বিচারক আবু শামীম আজাদ আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরিফুর রহমান বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের আবদুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে। তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) পিওএন শাখার নায়েক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে মামলার পর আরিফুরকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (বিশেষ পিপি) ফয়েজুল হক ফয়েজ জানান, ২০১৩ সালে জেসমিন আক্তার নামে এক নারীর সঙ্গে আরিফুর রহমানের বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর পর আরিফুর রহমান অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এতে সংসারে অশান্তি নেমে আসে। ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বললে জেসমিনকে মারধর শুরু করেন আরিফুর। এক পর্যায়ে যৌতুকও দাবি করেন তিনি। তবে সন্তানদের কথা ভেবে প্রথমে চুপ থাকলেও নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে গত সেপ্টেম্বরে আদালতে মামলা করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আগে থেকে সম্পর্ক থাকা ওই নারীকে বিয়ে করেন আরিফুর রহমান। এরপর গত ৭ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে আরিফুর প্রথম স্ত্রী জেসমিনের করা মামলা থেকে জামিন নেন।জামিনের পরদিন জেসমিনের বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন। এরপর জেসমিন আবেদন করলে আরিফুরের জামিন বাতিল করেন আদালত। পরে উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন আরিফুর। জামিনের মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ফের জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালত তা নামঞ্জুর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।