নগর সংবাদ।। ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’ বিশ্ববৌদ্ধদের ধর্মীয় উৎসব। দিনটি বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের নিকট পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। ভগবান বুদ্ধ বৈশাখী পূর্ণিমার বিশাখা নক্ষত্রে রাজকুমার সিদ্ধার্থ রূপে কপিলাবস্তুর লুম্বিনী কাননে আড়াই হাজার বছর আগে এ দিনে আবির্ভূত হয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর নাম দেওয়া হয় ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’।
দিনটি উপলক্ষে রোববার (১৫ মে) বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরে ভক্তরা প্রার্থনা করছেন। এরপর রাতে বাসাবো মন্দিরে মোমবাতি প্রজ্বলন করবেন ভক্তরা।
সকাল ৮টায় বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির থেকে বের হয় ‘শান্তি শোভাযাত্রা’। সবার শান্তি কামনায় অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রায় অংশ নেন সংঘ নায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথের। এ শোভাযাত্রার মাধ্যমে জগতের সব প্রাণীর কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছে যাবে এমনই প্রত্যাশা ভক্তদের। শোভাযাত্রাটি বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির থেকে শুরু হয়ে কমলাপুর স্টেডিয়াম হয়ে আবারও বাসাবো এসে শেষ হয়।
এছাড়া বুদ্ধ পূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করেন বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। উৎসবের এ দিনে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের অহিংস বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় জানান তারা।
বৈশাখ মাসের এ পূর্ণিমায় মহামানব বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল বলে দিনটি ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’ নামে খ্যাত। খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন। ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই দিনে তিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। আবার ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। সিদ্ধার্থের বুদ্ধত্বলাভের মধ্য দিয়েই জগতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রবর্তিত হয়।
এদিকে বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।