নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানাধীন আলীরটেকে অটোরিকশা চালক সিয়ামকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল তার অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেওয়া। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় সিয়ামকে ফোন করে রিকশাসহ ডেকে নেন ঘাতক ইয়ামিন।
প্রাথমিক জবানবন্দীতে ইয়ামিন জানান, তার সহযোগীরা সিয়ামকে মাটিতে ফেলে হাত-পা শক্ত করে ধরেন এবং তিনি চাকু দিয়ে সিয়ামের গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তারা লাশটি ইট দিয়ে ঢেকে রাখেন। অটোরিকশা বিক্রি করে টাকা ভাগ করে নেন।
রোববার (২২ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে জবানবন্দী দেন সিয়াম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইয়ামিন (১৯)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম জানান, মামলার প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। অপর গ্রেফতারকৃত নবী হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। সোমবার নারী ও শিশু আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঘাতক ইয়ামিনের তথ্যমতে মুন্সিগঞ্জের বেতকা এলাকা থেকে ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ২০ মে আলীরটেক এলাকা থেকে মামলার দুই আসামি ইয়ামিন (১৯) ও নবী হোসেনকে (১৮) গ্রেফতার করে র্যাব-১১ এর একটি টিম।
গত ১৩ মে নিখোঁজ হন অটোরিকশাচালক সিয়াম। পরে একটি ইট ভাটা থেকে তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মামলার পর ২০ মে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন রাধানগর নেংটারবাড়ী এলাকার নূরে আলমের পুত্র ইয়ামিন (১৯), আলীরটেকের জিয়ার পুত্র নবী হোসেন (১৮), পুরান গোগনগরের জনু মিয়ার পুত্র জুম্মান (১৮)।