ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৬১টি। এ মাসে চারজন শিশু, ২২ জন কিশোরী ও ৪৫জন নারীসহ মোট ৭১ জন আত্মহত্যা করেছেন। ৪ শিশু ও কিশোরী ও ১ নারী অপহরণের শিকার হয়েছেন। অপরদিকে ১ শিশু, ৭ কিশোরী ও ৩ নারী নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ১৪ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ মোট ৮৯ জন শিশু, কিশোরী ও নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
পাশাপাশি অক্টোবরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৬টি মামলা হয়েছে। এ মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি অক্টোবর মাসে দেশে ৪২টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ১ জন প্রতিবন্ধী পথচারী, ক্ষমতাসীন দলের ৬ জনসহ মোট ৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সহিংসতার শিকার হয়েছেন মোট ৩৭৪ জন। যাদের মধ্যে ৩৪৪ জন আহত হয়েছেন, ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এসময় পুলিশ আটক করেছেন ১০৩ জনকে।
এতে বলা হয়, অক্টোবর মাসে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুই ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ৫টি অভিযোগের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। একই সময়ে ২ নারী ও ৫ যুবকের অজ্ঞাতনামা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশি হেফাজতে একজনের ও কারা হেফাজতে তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মএসএফ জানায়, অক্টোবর মাসে ১২টি নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় ৫১ জন আহত হয়েছেন এবং ১ জন নির্বাচনপরবর্তী দ্বন্দ্বে নিহত হয়েছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনে ১৫ জন সাংবাদিক বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন।
সংগঠনটি জানায়, সীমান্তে হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ করতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সীমান্তে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না বরং ঘটেই চলেছে।
সংগঠনটি আরও জানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা (ডিএসএ) প্রবলভাবে সমালোচিত হওয়া সত্ত্বেও এ আইনে মামলার নামে হয়রানি অব্যাহত রয়েছে ও এর যথেচ্ছ অপব্যবহারের বিষয়টি ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৬টি মামলা হয়েছে, যেখানে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৬টি মামলার মধ্যে ৩টি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করা এবং ২টিতে ধর্মের প্রতি অবমাননা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনামূলক পোস্ট, শেয়ার বা কমেন্ট করা ও অপর ১টি ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করার অভিযোগে।
এমএসএফ মনে করে, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতারোধে কার্যকর ভূমিকা লক্ষ্যণীয় নয়, যে কারণে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। সমাজে অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষায় সরকারের নজরদারি জোরদার করা প্রয়োজন।
এমএসএফ জানায়, অক্টোবর মাসে উদ্বেগজনকভাবে গণপিটুনিতে হতাহতের ঘটনা বেড়েছে। এমএসএফ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ মাসে অন্তত ১৫টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৩ নিহত ও ১৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সন্দেহে ও নারীঘটিত কারণে গণপিটুনির ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে।