“শিক্ষার জন্য এসো- সেবার জন্য বেড়িয়ে যাও” এমন স্লোগান ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দক্ষিণ অঞ্চলে রেহাই পুকুরিয়া,নাকালিয়া আরপিএন শহীদ শাহজাহান কবির উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষা অর্জনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য আর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অপরিহার্য। এমনিই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চৌহালী উপজেলার রেহাই পুকুরিয়া গ্রামে আর,পি,এন উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান চলছে ক্নাসরুম সহ নানা সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে অজপাড়া গাঁয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে বিদ্যালয়ে ক্লাসরুম সংকটে পরিত্যক্ত ভবনে পাঠদান চলছে। ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা সচল রাখতে দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণে কাঙ্ক্ষিত দাবি শিক্ষার্থীদের। উপজেলাকে নিরক্ষর মুক্ত ও সমাজে পিছিয়ে পড়া নারী ও যুব সমাজকে সু শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রত্যন্ত পল্লীতে অপুর্ব প্রকৃতিক শোভা সৌন্দর্যের মাঝে আদর্শ বিদ্যপীঠ হিসেবে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে আড়াই একর জমিতে তৎকালীন মিরকুটিয়া ইউনিয়ন( বর্তমান বাঘুটিয়া ইউপির)রেহাই পুকুরিয়া গ্রামে বিদ্যালয় এর যাত্রা শুরু করে। এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ, এক তলা ২টি ভবন, ২টি টিনের ঘর, একটি পরিত্যক্ত ভবন ও ১টি টিনর ঘর অকেজো পাঠদান অনুপযোগী। ফলাফলের সাফল্যে উচ্ছ্বাসীত ও সুনামধন্য বিদ্যাপিট আরপিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে এখন দরকার অবকাঠামো(ভবন)নির্মাণ। বিজ্ঞানের সকল যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, কমোনরুম, ওয়াশ ব্লগ, ক্লাস রুম, লাইব্রেরি, শিক্ষক রুম, প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় সহ নানা সংকট দেখা গেছে। সাধারণ শিক্ষাসহ বিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য, মেধাবী শিক্ষার্থী, সু-দক্ষ শিক্ষক,সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক, বিজ্ঞ পরিচালনা কমিটি, এলাকার সূধীজন এবং প্রতিষ্ঠাতাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চৌহালীর রেহাই পুখুরিয়া (আর,পি,এন) উচ্চ বিদ্যালয়ের মূলমন্ত্র। উচ্চ শিক্ষার জন্য এ বিদ্যালয়ে সুনাম এর সাথে পড়াশোনা করে সুশিক্ষিত সুনাগরিক হয়ে প্রতিষ্ঠানের নাম রাখতে চান শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিষ্ঠানে ১০ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারি সহ পাঠদানরত প্রায় ৪.শ শিক্ষার্থী রয়েছে। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের পাঠদান চলে, এতে কষ্ট আকাশ সমান সমাধানের জন্য দরকার ক্লাশ রুম। পাঠদানে আমাদের কষ্ট লাগবে দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ বড় প্রয়োজন। সহকারী শিক্ষক আঃ বাতেন বলেন, গত ২০১৮ সালে এ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে জরাজীর্ণ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন ইউএনও মহোদয়। একটি ভবনই বদলে দিতে পারে পাঠদান ও বিদ্যালয়ের চিত্র। প্রতিষ্ঠাতা মীয়ান বোরহান বলেন, চৌহালীতে ঝরে পরা শিক্ষার্থী ও কিশোর কিশোরীদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং অভিভাবকদের প্রত্যাশা ও দাবি পুরণে দরকার অবকাঠামো নির্মাণ। এলাকা বাসির দাবির আলোকে মডেল বিদ্যপীঠ গড়ে পাঠদান সচলে অবকাঠামো নির্মাণে সকল সংশ্লিষ্ট দপ্তর, বর্তমান সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সু-নজর কামনা করছি। প্রধান শিক্ষক মো, রফিকুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশ। আর একটি দেশের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার। গুনিজনদের প্রচেষ্টায় ও সার্বিক তত্বাবধানে, এলাকা বাসির সহযোগিতায় এ বিদ্যালয়টি এগিয়ে চলেছে। ছাত্র অভিভাবক শিক্ষক গুনিজন ও চৌহালী বাসির দাবি পুরণে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার বড় প্রয়োজন। বিদ্যালয়ের সকল সংকট নিরাশনে অবকাঠামো নির্মাণে সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর এগিয়ে আসেন তাহলে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে চৌহালী। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তফা কবির বলেন, বিদ্যালয়ের সুনাম, ফলাফল সন্তষ্টজনক, পাঠদানে দক্ষ শিক্ষক রয়েছে, অবকাঠামো সংকট, পরিত্যক্ত ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান, এসকল সমস্যা সমাধানে আমার নজর আছে দ্রুতই ভবন নির্মাণ হবে ইনশাআল্লাহ।