নগর সংবাদ।।ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর দক্ষিণ রামপুর এলাকা থেকে গাঁজার একটি বিশাল চালান জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। এ সময় দুজন মাদক কারবারিকেও আটক করা হয়।
আটক সোহেল কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বাটখালী এলাকার মো. নবাব মিয়ার ছেলে। আল আমিনের বাড়ি একই উপজেলার সুরাজপুর এলাকায়।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে সদস্যরা গাঁজার চালানের কথা জানতে পারে। তাদের কাছে খবর আসে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি মিনি পিক-আপের মাধ্যমে গাঁজা নিয়ে কুমিল্লা কে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছে। পরে র্যাব-৭ সিপিসি-১ ফেনী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা হতে চট্টগ্রামগামী মহাসড়কের দক্ষিণ রামপুর বশর ফলাইয়ার মিলের সামনের সড়কে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনের তল্লাশি শুরু করে।
কিছুক্ষণ পর তারা একটি মিনি পিক-আপ দেখতে পান। বাহনটির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হল। র্যাব সদস্যরা সেটি থামাতে সংকেত দেন। কিন্তু পিক-আপ চালক তা না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে র্যাব সদস্যরা পিক-আপটিকে চ্যালেঞ্জ করে আটক করেন। এ সময় সেটি তল্লাশিও করা হয়। বাহনটিতে ৪৪ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গেই সোহেল ও আল আমিনকে আটক করা হয়। পিক-আপটির কোনো বৈধ কাগজ না থাকায় সেটি জব্দ করা হয়।
সোহেল ও আল আমিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানা গেছে, তারা পরস্পর যোগসাজসে ড্রাইভিং পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্প মূল্যে গাঁজা কিনে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ করতেন। এসব অঞ্চলের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কাছে বেশি মূল্যে তারা গাঁজা বিক্রি করতেন। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা গাঁজার মূল্য ৬ রাখ ৬০ হাজার টাকা।
র্যাব-৭ ফেনীর উপ-পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জব্দ মালামালসহ আটককৃতদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।