আজ ৭ই মার্চ বৃহস্পতিবার, দুপুর দুটোয়, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের উদ্যোগে, প্রতিবছরের ন্যায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে, মা বোনেদের শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানাতে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পদযাত্রা করলেন এবং ডোরিনা ক্রসিং এ সভা করলেন।
যদিও নারী দিবস ৮ই মার্চ শুক্রবার, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগের দিন এই নারী দিবস পালন করে থাকেন। শুধু তাই নয়, আজ এই নারী দিবস উপলক্ষে, আগামী ১০ই মার্চ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে যে সমাবেশ আছে তাকে সফল করার জন্য আহ্বান জানান। প্রায় কয়েক হাজার মহিলা সদস্যরা ভিড় জমাতে থাকেন অনেক আগে থেকেই কলেজ স্কোয়ারে, শুধু তাই নয়, সন্দেশখালি থেকে আগত ও নিপীড়িত মহিলারাও এই মিছিলে যোগদান করেন, তারা বলেন আমরা দিদির পাশে আছি থাকবো, আমরা সন্দেশখালিকে মনিপুর হতে দেব না।
এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরাও আজকের মিছিলে পা মেলান, আজকের সমাবেশে এক বিজেপি কর্মী ,তৃণমূলে যোগদান করলেন। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মিছিল শুরু হওয়ার সাথে সাথে, কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে বিপুল সদস্যের সমাগম হয় এবং দিদির দূতেরা জর ধ্বনি দিতে থাকেন। কোথাও দিদিকে সংকর ধ্বনি দিয়ে সম্বর্ধনা জানাতে থাকেন। কলেজ স্কোয়ার প্রাঙ্গনে মিছিল শুরু হওয়ার আগেই,
উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধান নগরের পৌরমাতা কৃষ্ণা চক্রবর্তী, উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়,সাংসদ শান্তনু সেন, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, উপস্থিত ছিলেন বাবুন ব্যানার্জি, দোলা সেন, বিধায়িকা নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিয়দর্শিনী হাকিম, জুন মালিয়া, কিছুক্ষণ পরে উপস্থিত হন মাননীয় অভিষেক ব্যানার্জি এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের পৌর মাতা ও পৌরপিতারা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথেই মিছিল শুরু করেন। বহু আগে থেকেই প্রশাসনিক অফিসারেরা বিভিন্ন রাস্তা ব্যারিকেড করে দেন ও যাতে রকম গন্ডগোল না হয়, শান্তি-শৃঙ্খলা ভাবে পদযাত্রা ধর্ম তলায় পৌঁছায়, তীক্ষ্ণ নজর দেন। মিছিল ধর্মতলা ডড়িনা ক্রসিং এ পৌঁছালে, অনেক আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মহা নাগরিক ও মন্ত্রী ফিরাদ হাকীম, বৈশ্যানর চট্টোপাধ্যায় লাভলী মিত্র সহ অন্যান্যরা। সভা শুরু হওয়ার আগে, দোলা সেনের কন্ঠে সংগীতের মধ্য দিয়ে ভার অনুষ্ঠান শুরু হয়,
এরপর একে একে বক্তৃতা শুরু করেন, বক্তৃতার মূল উদ্দেশ্য ছিল, নারী দিবস উপলক্ষে, এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারীদের জন্য কি করেছেন সেগুলি তুলে ধরলেন।, সকলকে আহ্বান জানালেন ১০ তারিখের ব্রিগেড সমাবেশ কে ভরিয়ে তুলতে, মাননীয় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন নারীরা হলো দেবী দুর্গা , দেবী দুর্গা যেমন দশ হাত দিয়ে সব কিছু রক্ষা করে, এমনি নারীরাও দেখিয়ে দিতে পারে তাদের রুপ, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে, সবার আগে মা-বোনেদের শ্রদ্ধা জানালেন, এবং পশ্চিমবাংলায় তিনি কি কি উন্নয়ন করেছেন সেগুলি বিশ্লেষণ করলেন। তো তাই নয় তিনিও জানান, বঙ্গীয় সরকার যদি সবকিছু বন্ধ করে দেয়, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দেখাতে পারে, আজ আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়া থেকে একের পর এক প্রকল্প চালু করেছি, আর সেই সকল প্রকল্পকে বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা চলছে কেন্দ্রীয় সরকারের, কাজ করিয়ে টাকা দিচ্ছে না, কোথাও অঙ্গনওয়াড়ির টাকা আটকে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও ১০০ দিনের টাকা আটকে দেওয়া হচ্ছে। তো আমি প্রত্যেককে যেমন কথা দিয়েছি সেই ভাবে তাদের কাছে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে, এবং আমি প্রতিটা প্রকল্পের টাকা বাড়িয়ে দিয়েছি, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলা থেকে টাকা নিয়ে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে, যে দেশের টাকা নিয়ে অন্য দেশে পাড়ি দিচ্ছে সেই মানুষগুলোর কথা ভাবেননি,এই ভাবে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কে আটকে রাখতে পারবেনা, আর জবাব সামনে ইলেকশনের ভোটে সাধারণ মানুষ জবাব দেবে। দশ তারিখের সমাবেশে সাধারণ মানুষ বুঝিয়ে দেবে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা কি হতে পারে। এরপর সকলের উদ্দেশ্যে এবং শান্তির প্রতীক হিসাবে সারা বেলুন উড়িয়ে ও দেশাত্মবোধক গান গেয়ে সভা শেষ করেন।