ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আবারও ক্ষমতায় থাকছেন তিনি। এ জয়ে তার কর্মী-সমর্থদের উল্লাস করতে দেখা গেছে। এ আনন্দ-উল্লাসের ছাপ আগরতলায়ও (ত্রিপুরা) পড়েছে।
দিনের শুরু থেকেই যেন মনে হচ্ছিলো নির্বাচনে জয়ী হতো চলেছে মমতা ব্যানার্জী। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রতিটি কেন্দ্রেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে। আর তাতেই গেরুয়ার বদলে সবুজ আবিরে মাতলো আগরতলা।
জানা গেছে, ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জী পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৮৯ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩২০ ভোট। এছাড়া সিপিআইএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছেন ৪ হাজার ২০১ ভোট। সেই হিসাবে মমতা ব্যানার্জী জিতেছেন ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশের বেশি। গত ২৬ এপ্রিলের বিধানসভা ভোটে এ কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জয়ী হন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে।
২০১১ সালেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এ কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে জিতে আসেন মমতা। ভোট পড়েছিল ৪৫ শতাংশেরও কম। মমতা জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে। ভবানীপুরে এবার মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১২। নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী ছিলেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল।
ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জী। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর)। রোববার (৩ অক্টোবর) ভোট গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হলো।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা আর থাকতে পারছেন কিনা এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই শোরগোল চলছিল। সেই ভাবনার অবসান ঘটলো আজ।
অন্যদিকে, মমতা ব্যানার্জীর জয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছেন ত্রিপুরার কর্মী-সমর্থকরাও। বাংলায় প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেই যেখানে সবুজ আবিরের ছড়াছড়ি।মমতার জয়ের খবর পৌঁছতেই এ রাজ্যের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা যায়।
প্রদেশ তৃণমূলের এক নেতা বললেন, প্রচারে আলোতে আসতে কমতি রাখেনি বিজেপি। হিংসা ছড়াতে আগেও যেমন নানা কায়দা-কানুন অবলম্বন করতে দেখা যায় তাদের, এবার তা দেখে গেছে। ভোট শেষে বিজেপি প্রার্থীর কথাবার্তায় সেই আভাস মিলেছে। এরই মধ্যে তিনি উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখডের কাছে এ মর্মে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রদেশ নেতা বললেন, হিংসার আগুন তারাই জ্বালাতে জানে। তৃণমূল কংগ্রেস এ হিংসায় বিশ্বাস করে না। বঙ্গ থেকেও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘ভবানীপুরে কখনোই হিংসা হয় না। এটা শান্তি প্রিয় এবং সংস্কৃতিপ্রিয় মানুষের জায়গা। উনি বাইরের লোক তো, তাই জানেন না।’