বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ১৯তম দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০২২ উদ্বোধন করেন তিনি। শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় শান্তি চাই। শান্তিতে বিশ্বাস করি। দুর্ভাগ্য, একদিকে করোনা মহামারি, আরেক দিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এই পরিস্থিতি মানুষকে খুব কষ্ট দিচ্ছে। আমি জানি, কবি শিল্পী সাহিত্যিকদের দৃষ্টিতে মানুষের এই কষ্ট-যন্ত্রণা এবং যুদ্ধের ভয়াবহতাও উঠে আসবে। যাতে এ ধরনের যুদ্ধ আর না হয়। পৃথিবীর মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে। মানুষের জীবনমান যেন উন্নত হয়, এটা আমরা চাই।
শিল্পীদের এই আয়োজনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই আয়োজনের ফলে বিভিন্ন দেশের সংষ্কৃতির যে সমন্বয়, এতে আমাদের দেশটা আরও সমৃদ্ধশালী হবে। দেশ বিদেশে সৃজনশীলতা সম্পর্কে একে অপরের জানার একটা সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমাদের জন্য এবং বিশেষ করে শিল্পমনাদের খোরাক যোগাবে। তাদের এই চর্চায় একটা নতুনত্বের আবির্ভাব হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের শিল্পীদের তুলির আঁচড়ে বা ভাস্কর্যে উঠে এসেছে বাংলাদেশের সংষ্কৃতি, জীবনযাত্রা, প্রকৃতি ও পরিবেশ। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধ প্রতিবাদের ভাষাও সমৃদ্ধ করেছে, আরও শাণিত করেছে শিল্পীদের তুলির আঁচড়ে। এমনকি বিশ্বযুদ্ধের পরে শিল্পীদের প্রতিবাদের ভাষাও মানুষকে নাড়া দিয়েছিল। শিল্পীরা আমাদের দেশের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম তাদের কর্মে তুলে এনেছিল। তারাও শিল্পকর্মে অংশ নিয়েছিল আন্দোলনে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে স্বল্পোন্নত দেশ গঠন করেন। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাকে হত্যা করে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় মার্শাল ল, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার। আমরা যখন মিলিটারি ডিক্টেটরদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করি, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। সেটিও শিল্পীর তুলিতেই ফুটে ওঠে।
অনুষ্ঠানে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সংষ্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ১১৪টি দেশের ৪৯৩ শিল্পীর অংশগ্রহণে এই ১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ।