রাষ্ট্রপতি বলেন, ৪ নভেম্বর, জাতীয় সংবিধান দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ও স্মরণীয় দিন। জাতীয় সংবিধান দিবসে তিনি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত জনতার মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তারই নেতৃত্বে ও দিকনির্দেশনায় দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। তার নেতৃত্বে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন’ করা হয়। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে ‘খসড়া সংবিধান’ বিল আকারে উত্থাপন করা হয়। বিলের ওপর আলোচনা শেষে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’ গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর গণপরিষদের সদস্যগণ হাতে লিখিত সংবিধানের মূল কপিতে স্বাক্ষর করেন এবং ১৬ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সংবিধানে শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা এবং সব নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক অধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিতের অঙ্গীকার করা হয়। সংবিধান একটি রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের কার্যপরিধিসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়ামক দলিল।