৯ ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার, আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকী সরস্বতী পুজো, চলছে পুরো দমে স্বরস্বতী প্রতিমার কাজ শেষ করার, কুমারটুলির শিল্পীদের কথা বলার সময় নাই, তেমনি যাহারা ডাকের গহনা তৈরি করেন, তাহারাও ব্যস্ততার মধ্যে কাজ করছেন, অন্য দিকে আস্তে আস্তে ভীড় জমতে শুরু করেছে, বাড়ির পুজোর উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে
, ক্লাব ও স্কুলের দিদিমণিরা, ও মাস্টারমহাশইরা, কুমারটুলি পাড়ায়, প্রতিমা তৈরি মানেই একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে প্রতিবারই, প্রতিমার রূপ বিভিন্নভাবে ফুটে উঠে শিল্পীদের তুলির টানে ও হাতের তৈরী কাজের মধ্যে দিয়ে,
বাজারেও প্রতিমা সাজিয়ে বসেছেন শিল্পীরা, শিল্পীরা জানালেন আমরা চেষ্টা করি উদ্যোক্তাদের আনন্দ দেওয়ার এবং একটু অন্য ধরনের প্রতিমা তৈরি করার, আবার কিছু কিছু উদ্যোক্তারা আসেন, তাহারা যেভাবে বলেন সেই ভাবে প্রতিমা তৈরি করতে হয়।,
এবারে আমরা সর্বনিম্ন ২০০টাকা থেকে শুরু করেছি প্রতিমা তৈরী, আরে বেশিরভাগ ঠাকুর ই উদ্যোক্তারা মাইনা করে গেছেন অনেক আগেই, এবার তাদের নিয়ে যাওয়ার পালা অনেকেই আসছে নিয়ে যেতে আবার অনেকে ফোন করে জানছেন তাদের প্রতিমা কাজ শেষ হয়েছে কিনা, রবিবারের মধ্যে সমস্ত প্রতিমা কাজ আমাদেরকে শেষ করে ফেলতে হবে।
শিল্পীরা বললেন এবারে সবচাইতে বেশি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছি। কারণ যাহারা কোনদিন এখানে প্রতিমা নিতে আসেনি। বাড়ির কাছ থেকে কিনতেন, তাহারাও এবারে কুমারটুলিতে এসেছেন প্রতিমা কিনতে।,
এটা আমাদের কাছে নতুন পাওনা। মে সকল উদ্যোক্তা প্রতিমা নিতে এসেছেন, আমাদের খুব ভালো লাগছে, আমরা কুমারটুলিতে এসে নতুন নতুন প্রতিমা দেখতে পেয়েছি এবং আমরা এখান থেকে প্রতিমা নিয়ে যাচ্ছি।, জানালেন আমরা শুধু হুগলি থেকে এখানে প্রতিমা বায়না করেছি। এতদিন আমরা বাড়ির সামনে থেকেই প্রতিমা নিতাম।
এর সাথে সাথেই আর কয়েকদিন বাদেই মেতে উঠবে এই সকল উদ্যোক্তারা বাণী বন্দনায়। চলবে পুজোপাঠ স্কুলে স্কুলে , কলেজেএবং বাড়িতে বাড়িতে ও ক্লাবে ক্লাবে । নতুন জামা কাপড় পড়ে বেরিয়ে পড়বে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ওই স্কুল-কলেজের ছেলে মেয়েরা।