কলকাতায় চারটি পুজো দুর্গারত্ন পুরস্কারে রয়েছে বরানগর -রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস
শম্পা দাস— সম্পাদক,দৈনিক নগর সংবাদ,নগরসংবাদ ২৪ ডটকম,,কলকাতা ব্যুরো
কলকাতায় এবছর প্রথম সম্মানিত করার ঘোষণা করেন চারটি পুজো দুর্গারত্ন/রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ .বোসশিল্পীর শৈল্পিক ভাবনা, মাতৃপ্রতিমা, সামাজিক বার্তা সহ একাধিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নানান সম্মানে পুরস্কৃত হয় পুজোমণ্ডপ গুলি। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়ে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে উৎসবের রং। এবছর প্রথম মানুষের বিচারে চারটি পুজো দুর্গারত্ন পুরস্কারে সম্মানিত করার ঘোষণা করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, কলকাতা সহ জেলার চার পুজো মণ্ডপকে পুরস্কারের তালিকায় রাখা হয় রাজভবনের পক্ষ থেকে। তালিকায় নাম করে নেয় উত্তর কলকাতার টালা প্রত্যয়, বরানগর নেতাজি কলোনি লো-ল্যান্ড, বরানগর বন্ধুদল স্পোটিং ক্লাব সহ কল্যাণী লুমিনাস। ঠিক হয় ৫লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হবে চারটি পুজো কমিটিকে। বরানগর নেতাজি কলোনি লোল্যান্ডের প্রতিমা।
যদিও বৃহস্পতিবার সেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে বরানগর নেতাজি কলোনি লো-ল্যান্ড ও বরানগর বন্ধুদল স্পোটিং । এদিন নেতাজি কলোনি লো-ল্যান্ড পুজো মণ্ডপের মুখ্য সংগঠক দিলীপ নারায়ণ বসু ও বরানগর বন্ধুদল স্পোটিং ক্লাবের সম্পাদক বাসব চন্দ্র ঘোষকে পাশে নিয়ে বিধায়ক তাপস রায় পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের কথা ঘোষণা করেন। দুটি ক্লাবের পুজো কমিটির সাথে জড়িত বিধায়ক তাপস রায়। বরানগর বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিমা। সাংবাদিক বৈঠকে তাপস রায় বলেন, রাজ্যপালের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ তাঁর কেন্দ্রের দুটি পুজো কমিটিকে দুর্গারত্ন পুরস্কারে পুরস্কৃত করায়। তবে দুটি পুজো কমিটি এই পুরস্কার গ্রহণ করতে অক্ষম। কারণ হিসাবে বিধায়ক বলেন রাজ্যে ২১ থেকে ২২লক্ষ বাংলার দূর্গারা এখনও কাজ পাচ্ছেন না অথবা তাদের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পান নি। একাধিকবার রাজ্যপালের কাছে এই বঞ্চনার কথা তুলে ধরলেও সুরাহা হয়নি। তারই প্রতিবাদে পুজো কমিটির এই সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত কল্যাণী লুমিনাস সহ টালা প্রত্যয় এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে। সেই পথেই এবার হাটলো বরানগরের দুই পুজো কমিটি।