১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ৩টায় বাসা থেকে বের হয়ে জাকির মিয়া নিখোঁজ হয়েছেন দাবী করে তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৪৬) ফতুল্লা মডেল থানায় ১৯ সেপ্টেম্বর একটি জিডি দায়ের করেন।
মারধর করার অভিযোগে বক্তাবলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য রশিদ মেম্বারের বিরুদ্ধে তার শ্বশুর ফতুল্লা মডেল থানায় একটি জিডি করেন। এই জিডি উঠিয়ে নেয়ার জন্য বাসা থেকে তার শ্বশুর জাকিরকে পুলিশ দিয়ে পূর্বগোপালনগর এলাকায় রশিদ মেম্বার তার অফিসে ডেকে নেয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রশিদ মেম্বার বলেন, জাকির মিয়াকে স্থানীয় আওলাদ নামে এক লোক কোন বিষয় নিয়ে মারধর করেছে। সেই বিষয় আমি জানি না অথচ আমার বিষয়ে অভিযোগ করিয়েছে। এজন্য জাকির মিয়াকে তার মেয়ের জামাই জাকির হোসেন আমার অফিসে নিয়ে আসেন। এসময় অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার এএসআই জাহিদ হাসান জুয়েল, এসআই মোস্তফা, এসআই সাইফুল উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনেই জাকির মিয়াকে আমি জিজ্ঞেস করি ভাই আপনার সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই এবং চেনা জানাও নেই। তাহলে আমার বিরুদ্ধে কেনো অভিযোগ করলেন। তখন জাকির মিয়া তার ভুল স্বীকার করে বলছেন আগামীকাল অভিযোগ উঠিয়ে নিয়ে নতুন করে অভিযোগ করবেন। এরপর জাকির মিয়া তার মেয়ের জামাই জাকির হোসেনের সঙ্গে চলে যায়। এখন আমাকে হত্যাকারী বলা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত চাই কারা জাকির মিয়াকে হত্যা করেছে।
বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী বলেন, তদন্ত করে হত্যাকারীকে খুজে বের করার দাবী জানাই। তবে কেউ যেন অহেতুক হয়রানীর শিকার না হয় সেজন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ রইল।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে। আশা করি হত্যাকারীকে দ্রæত সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।