নগর সংবাদ।।সংসারে অভাব-অনটন। তাই অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসারে কিছুটা সহয়তা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ১৬ বছরের এক কিশোরী।
কিন্তু কাজের খোঁজে গিয়ে তাকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে।
কারণ, যার মাধ্যমে সে কাজ নিতে চাচ্ছিল, সেই তাকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে এক দালালের কাছে। ওই দালালের সহায়তায় মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাতে চার-পাঁচ যুবক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌর এলাকায়। বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে রায়পুর পৌর শহরের নতুন বাজারের খেঁজুরতলা এলাকা থেকে অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- পৌরসভার নতুন বাজার এলাকার দুলাল হোসেন ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম।
থানা পুলিশ ও কিশোরীর পরিবার জানায়, ঘরে অভাব-অনটন থাকায় ওই কিশোরী গৃহপরিচারিকার কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে। এতে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বখাটে জাকির তাকে উপজেলার চরআবাবিল গ্রাম থেকে রায়পুর পৌর শহরে নিয়ে আসেন। জাকির তাকে রায়পুরের নতুনবাজার এলাকার দুলালের বাসায় নিয়ে রাখেন। কিশোরীর অজান্তে জাকির তাকে দুলালের কাছে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাতে দুলাল ও তার স্ত্রী ফাতেমার সহযোগিতায় চার-পাঁচ যুবক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।
কিশোরীর দাদি (৬৫) জানান, বাসায় কাজের কথা বলে কয়েকদিন আগে মো. দুলালের বাড়িতে তার নাতনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। গত সোমবার রাতে দুলালের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের সহায়তায় গৃহকর্তা দুলাল, সহযোগী রাকিবসহ চার-পাঁচজন মিলে তার নাতনিকে ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) তার নাতনি বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, ধর্ষণ ও এতে সহায়তা করার ঘটনায় জড়িত দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর দাদি বাদী হয়ে থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন। আটক দু’জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।