নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বালু চাপা দেওয়া অজ্ঞাত পরিচয় লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে।পরিচয় পাওয়া নিহত যুবক মোরশেদুল বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি বাসো পাড়া গ্রামের একরামুল হকের একমাত্র ছেলে।মোরশেদুল নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর নদীর তীর থেকে বালু চাপা দেওয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে।মামলার ৯দিনেও এই নৃশংস হত্যাকান্ডের এখনো কোন ক্লু পায়নি পুলিশ।জানা গেছে,মোরশেদুল পেশায় একজন বাস শ্রমিক ছিল।এজন্য তিনি বাড়ীর বাইরে বেশি ভাগ সময় অবস্থান করতেন।যখন বাড়ীতে আসতেন তখন জুয়ার আড্ডায় মেতে থাকতেন।গত ২৪ আগষ্ট মোরশেদুলের মোবাইল ফোনে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে।ওই ফোন পেয়ে তিনি রাত ৯টার দিকে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়।সেই থেকে আর বাড়ীতে ফেরেনি।ছেলের খোঁজ না পাওয়ায় তার বাবা একরামুল হক ২৬ আগষ্ট থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করে। ২৭ আগষ্ট দুপুরে উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কারবালার ডাঙ্গার পূর্ব পাশে কে বা কাহারা নৃশংসভাবে হত্যা করে ধাইজান নদী খননের স্তুুবকৃত বালুর নিচে চাপা দিয়ে রাখে।শিয়াল বালু খুঁড়ে তার লাশ বের করে।এসময় স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।পরে পুলিশ সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।প্রাথমিক অবস্থায় বিকৃত লাশের পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।এঘটনায় দু’জন ব্যাক্তিকে থানায় এনে পুলিশ জিজ্ঞাসা বাদ করে।কিন্তু মামলা দায়েরের ৯ দিনেও পুলিশ কোন ক্লু বের করতে না পাড়ায় মোরশেদুলের বাবা-মা সহ আত্মীয় স্বজনরা নিরাশ হয়ে পড়েছে।নিহতের মা মোরশেদা বেগম জানায় পুলিশের তৎপরতা লক্ষনীয় হলেও ঘাতকদের চিহিৃত করার বিষয়ে কোন প্রকার আশার আলো দেখতে পাচ্ছিনা।ফলে আমার ছেলে হত্যার বিচার নিয়ে শংকিত রয়েছি।কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোরশেদুলের খুনের তদন্ত অব্যহত রয়েছে।খুনের মোটিভ উদ্ধারসহ কিছু দিনের মধ্য আসামীদের ধরতে পারবো বলে আশা করছি।