বুধবার ২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ২:৫৬
শিরোনামঃ
Logo ১১টি ইউনিয়ন বাসির আশা-আকাঙ্ক্ষার ত্বরান্বিতসিরাজগঞ্জ-৬ চৌহালী আসন পুর্নবহাল Logo কালিয়াকৈর অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ সদস্য নিহত Logo ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় তিনজন নিহত Logo জমির সীমানা পরিমাপকে ঘিরে বৃদ্ধের রহস্যজনিত মৃত্যু  Logo মীরসরাইয়ে সাত বছরে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ আটক ১ Logo ঈদের বাণী হচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা, অতীতকে পেছনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া-নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান Logo ২য় তম বর্ষে পদার্পণ করলো বেঙ্গল ক্রিয়েটিভ ক্লাবের চিত্র প্রদর্শনী। THE SHADES OF NUDE–2 Logo চৌগাছা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় শাড়ি, কম্বল, থ্রি-পিস, কিসমিস, ওষুধ, বিভিন্ন ধরনের চকলেট ও কসমেটিকস সামগ্রী জব্দ Logo স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু Logo ফতুল্লায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে যুবককে গুলি করে হত্যা

কোরবানি দেওয়ার জন্য শর্ত ও দিকনির্দেশনা

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: জুন, ২, ২০২২, ৮:৫৯ অপরাহ্ণ
  • ৩২৬ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

‘পরিবারের খরচ মেটানোর পর যদি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে নির্ধারিত পরিমাণ সোনা বা রুপা থাকে কিংবা বাজার দর অনুযায়ী সোনা-রুপার সমপরিমাণ টাকা থাকে তবে, ওই ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা আবশ্যক।’ তাহলে কোরবানির জন্য সোনা-রুপা বা টাকার পরিমাণ কত থাকতে হবে?

কোরবানি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম। আর্থিক ও আত্মিক ইবাদত এটি। মহান আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ নিয়তে নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদের মালিকের ওপর কোরবানি করা আবশ্যক।

হজের মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে কোরবানি দিতে হয়। হজ জীবনে একবার ফরজ হলেও কোরবানি প্রতি বছর একবার দিতে হয়। অনেকেই জানেন না যে, কী পরিমাণ সম্পদ বা টাকা থাকলে কোরবানি দেওয়া আবশ্যক। এ বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। তাহলো-

জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ কোরবানির পশু জবাই করতে হয়। কোরবানি দেওয়ার জন্য শর্ত হলো এ দিনগুলোতে পরিবারের জীবিকা নির্বাহের খরচ ছাড়া অতিরিক্ত নেসাব (নির্ধারিত) পরিমাণ সম্পদ বা টাকার মালিক হলেই তার ওপর কোরবানি আবশ্যক।

সোনা-রুপার নেসাব

জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে কারও কাছে সাড়ে ৭ তোলা/ভরি সোনা কিংবা সাড়ে ৫২ তোলা/ভরি রুপা থাকলে কোরবানি আবশ্যক। কোরবানি আবশ্যক হওয়ার জন্য এ পরিমাণ সোনা-রুপা এক বছর ব্যক্তির মালিকানাধীন থাকতে হবে এমন কোনো শর্ত প্রযোজ্য নয়।

১. নেসাব পরিমাণ সোনার মূল্য

কেউ যদি সোনার পরিমাণকে নেসাব ধরে তবে তাকে সাড়ে ৭ ভরি/তোলা সোনার মূল্যের উপর টাকার পরিমাণ হিসাব করতে হবে। যেমন-

> ২২ ক্যারেট মানের সোনার প্রতি ভরি/তোলা (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম- ৮০ হাজার টাকা হিসাবে সাড়ে ৭ ভরির দাম- ৬ লাখ টাকা।

> ২১ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম ৭৬ হাজার টাকা হিসাবে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম- ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

> ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের প্রতি ভরির (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) দাম ৬৬ হাজার টাকা হিসাবে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম- ৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

> সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম- ৫০ হাজার টাকা হিসাবে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণের দাম- ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা (স্বর্ণের এ দাম ওঠা নামা করতে পারে। সেক্ষেত্রে বাজার দর হিসাব করে নেসাব নির্ধারণ করতে হবে।)

সুতরাং যারা স্বর্ণের নেসাবে কোরবানি দেবেন, তাদের জন্য প্রায় ৪ লাখ টাকা বা সমপরিমাণ সম্পদ জিলহজ মাসের ১০-১২ তারিখ (এ তিন দিন) মালিকানায় থাকলে কোরবানি দেওয়া আবশ্যক।

২. নেসাব পরিমাণ রুপার মূল্য

কেউ যদি রুপার নেসাবে কোরবানি দিতে চায় তবে তাকে সাড়ে ৫২ ভরি/তোলা রুপার মূল্যের উপর টাকার পরিমাণ হিসাব করতে হবে। তাহলো-

> ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার মূল্য ১ হাজার ৫১৬ টাকা হিসাবে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার দাম হয় ৭৯ হাজার ৫৯০ টাকা।

> ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৪৩৫ টাকা হিসাবে সাড়ে ৫২ তোলা বা ভরির দাম হয়- ৭৫ হাজার ৩৩৭ টাকা পঞ্চাশ পয়সা।

> ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা হিসাবে সাড়ে ৫২ তোলা/ভরির দাম হয়- ৬৪ হাজার ৩১২ টাকা পঞ্চাম পয়সা। এবং

> সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ৯৩৩ টাকা হিসাবে সাড়ে ৫২ তোলা/ভরির দাম ৪৮ হাজার ৯৮২ টাকা পঞ্চাশ পয়সা।

তাই কারো কাছে যদি সর্বনিন্ম ৫০ হাজার টাকাও থাকে তবে তাকে রুপার নেসাব পরিমাণ অর্থের বিধান অনুযায়ী কোরবানি দিতে হবে।

সুতরাং পরিবারের খরচ মেটানোর পর যদি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ নির্ধারিত পরিমাণ সোনা বা রুপা থাকে কিংবা বাজার দর অনুযায়ী সমপরিমাণ টাকা অর্থাৎ ৫০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা থাকে তবে ওই ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা আবশ্যক।

’রদ্দুল মুহতার’ গ্রন্থে এসেছে, ‌সুস্থ মস্তিষ্ক, প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলিম নর-নারী ঋণমুক্ত থাকা অবস্থায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। এক্ষেত্রে কোরবানি না করলে ওয়াজিব তরকের দায়ে গুনাহগার হবেন।

’বাদায়েউস সানাঈ’ গ্রন্থে এসেছে, ‌‌নাবালেগ; পাগল; যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকও হয় তাদের ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। তবে তাদের অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা তাদের পক্ষে থেকে কোরবানি করলে তা বিশুদ্ধ হবে।

’দুররুল মুখতার’ গ্রন্থে এসেছে, মুসাফিরের ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। মুসাফির দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যে ব্যক্তি কমপক্ষে ৪৮ মাইল সফরের নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে।

’বাদায়েউস সানাঈ’তে এসেছে, কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য কোরবানির ৩ দিনই মুকিম থাকা জরুরি নয়। বরং কেউ যদি এ ৩ দিনের শুরুর দিকে মুসাফির থাকে আর শেষ দিকে মুকিম হয়ে যায় তবে তার নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার কোরবানি ওয়াজিব হবে। আর কেউ যদি এ ৩ দিনের শুরুতে মুকিম থাকে এবং শেষের দিকে মুসাফির হয়ে যায় তাহলে তার ওপরে কোরবানি ওয়াজিব হবে না।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকদেরকে যথাযথভাবে কোরবানি আদায় করার মাধ্যমে তার নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell