নগর সংবাদ।।লাল ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। একটি ডিমের জন্য ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
তিন দিনের ব্যবধানে লাল ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ১৫ টাকা। হাঁসের ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বর্তমানে বাজারে লাল ডিমের ডজন ১৫৫ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। এছাড়া দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।
গত শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলোতে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হয়েছিল ১৫০ টাকা। অন্যদিকে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হয়েছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
ডিমের দাম বাড়ায় ক্ষুব্ধ পল্লবী এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ জাকারিয়া জিকু। বলেন, সবকিছুর দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। যারা আগে এক ডজন ডিম কিনতো তারা এখন কিনছে এক হালি। যারা এক হালি কিনতো তারা এখন দুই-একটা ডিম কিনতে পারছে। গরিব মানুষরা অনেকে ডিম খাওয়া ছেড়েই দিয়েছে!
তিনি আরও বলেন, এভাবে চলতে থাকলে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাবে। তখন মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে!
পল্লবী এলাকার পাটোয়ারী জেনারেল স্টোরের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক পাটোয়ারী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় যাতায়াত খরচ বেড়ে যাওয়ায় ডিমের দাম বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে খামারগুলোর মুরগির খামারের দাম। সব মিলিয়ে দাম বেড়েছে। দুই একদিনের মধ্যে লাল ডিমের দাম ডজনে আরও ৫ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কালশী বাজারের ডিম বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, লাল ডিমের হালি বিক্রি করছি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। ডজন বিক্রি করছি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের (কক) দামও বেড়েছে। এখন ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে রমজান বলেন, পরিবহন খরচ বেড়েছে, মুরগির খাবারের দামও বেড়েছে। সব মিলিয়েই ডিমের দাম বেড়েছে। আরও বাড়বে ডিমের দাম। দুই-একদিনের মধ্যে লাল ডিমের ডজন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা হবে।