নগর সংবাদ।।নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, চারিদিকে গন্ধ পাচ্ছি। আগের থেকেই আমি গন্ধ পাই এবং যা বলি তা হয়।
জেলা প্রশাসক সাহেব, আপনারা মনে করবেন এটা আপনাদের এলাকা। এমনভাবে কাজ করবেন যেন আপনি চলে গেলে চোখে পানি আসে। ইচ্ছে করলে কাগজে সই করে চলে যেতে পারেন অথবা আমাকে কাজে লাগাতে পারেন। আপনি এখানে কাজের জন্য এসেছেন। আপনার টিমটাও খুব ভাল। এক দুইমাস পরে হয়ত আমাকে পাবেন না। আমি রাস্তায় থাকব, আমরা রাস্তায় থাকার লোক।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কালিরবাজারে জেলা সরকারি গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
শানীম ওসমান বলেন, চাষাঢ়ার হলটির নাম জিয়া হল ছিল না, সেটা টাউন হল ছিল। আমি সেটাকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে করেছিলাম। পরবর্তীকালে এসে আবার দেখলাম সেটা জিয়া হল। কারো নাম নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। এটা জেলা প্রশাসনের সম্পত্তি। এখানে কমিটি নেই, যারা ছিলেন মারা গেছেন। আমি চেয়েছিলাম এটা ওয়ান স্টপ সার্ভিস হবে, তারা সবকিছু এখানে পাবে।
ছোট বাচ্চাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, একটা মানুষ কাজ করলেই প্রশান্তি হয় না। এখানে জেলা প্রশাসন আছেন। তদের ছাড়া আমি পারব না। সত্য লেখার দায়িত্ব সাংবাদিকদের। জনগণের ভোটে পাস করেছি, তাই কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। নারায়ণগঞ্জের ৯০ শতাংশ কাজ আমাদের হাত দিয়ে হয়েছে। তোলারাম কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য পদত্যাগ করেছিলাম। ডিএনডির জন্য সংসদে মন্ত্রীকে বলেছিলাম আমি পদত্যাগ করব, না হয় আপনি পদত্যাগ করবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কিছু জিনিস চেয়েছিলাম। তখন তিনি বলেন, তুমি কী চাও? আমি ডিএনডি, লিংক রোডসহ কয়েকটি প্রজেক্ট চেয়ছি এবং তিনি দিয়েছেন। তখন তিনি বললেন এটুকুই তোমার চাওয়া। এতে তোমার লাভ কী? তখন বললাম মৃত্যুর পরে যেন মানুষ আমার জন্য কাঁদে।
শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটা নিষিদ্ধ পল্লী ছিল, সেখানে নারীদের ইজ্জত বিক্রি হত। নারায়ণগঞ্জে পুলিশ তখন পেত ৪৫ টাকা। ৫০টা মদের দোকান ছিল। ১৪ থেকে ১৫ হাজার লোক ছিল। আমি কাবা শরীফ ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমি আপাকে বললাম আমি এই শপথ করেছি। তিনি বললেন, তুমি করো। আমি বললাম বাধা আসবে, তিনি বললেন বাধা আসবেই, তখন সকলে মিলে সাড়ে তিন কোটি টাক দিল। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান দিলেন দেড় কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়ে তাদের পুনর্বাসিত করেছি। বন্ধুবান্ধবরা তখন বলত ওইখানের কী অবস্থা, তখন মাথা নিঁচু হয়ে গেছে। ওই শক্তি অনেক বড় শক্তি ছিল। পতিতালয় উচ্ছেদ, গোলাম আজমকে নারায়ণগঞ্জে নিষিদ্ধ করা এবং যে রাতে ক্যু হবার কথা ছিল সেদিন নির্দেশিত হয়ে লং মার্চ ঠেকানো এই তিনটি কারণে আমি টার্গেট হয়েছি। তারা নেই কিন্তু তাদের তাবেদাররা এখনও আমাকে টার্গেট করছে।
তিনি বলেন,‘শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের কোথায়, নারায়ণগঞ্জের কেথায় মিটিং হয়েছে সবই জানি। এই নারায়ণগঞ্জে খান সাহেব ওসমান আলীর বাড়িতে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। আপনারা যদি খেলতে চান। আসেন খেলি, আমি খেলতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বহু কষ্টে একটা বিয়ে করেছি। শেষ মেষ রাজী হয়েছে। বিয়ের আগের দিন মা বললো বাসা থেকে বের হবি না। এমন সময় শুনলাম নেত্রীর ওপর গুলি হয়েছে। সেটা শুনেই বাইরে বের হলাম। পুলিশ চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। পরে আমি বললাম আজকে অ্যারেস্ট কইরেন না, কালকে আমার বিয়ে। পরে তিনি আমাকে ছেড়ে দেন। বাচ্চা জন্মের সময় জেলে ছিলাম। আমাদের জন্মের সময় আমার বাবা জেলে ছিল।