ছেলে ও ছেলের বউয়ের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এক বৃদ্ধ মায়ের বিষপান করার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া পৃথক ঘটনায় মোটরসাইকেল না পেয়ে এক কিশোর ও পারিবারিক কলহের জেরে দুই গৃহবধু বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন।
এদের মধ্যে বৃদ্ধা রমেছা খাতুন (৬৫) এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া বাকি তিনজনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গাংনী উপেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী এসব ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঘটনাগুলোর মধ্যে বুধবার রাত ৮টার দিকে গাংনী উপজেলার কোদাইলকাটি কারিগর পাড়া এলাকার নবীছ উদ্দিনের স্ত্রী রমেছা খাতুন তার একমাত্র ছেলে বাকিরুল ও বাকিরুলের স্ত্রী সালমা খাতুনের হাতে শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে বিষপান করেন।
রমেছা খাতুনের ভাই আরজ আলী ও প্রতিবেশীরা জানান, বাকিরুল ও তার স্ত্রী সালমা প্রায়ই তুচ্ছ ঘটনায় রমেছাকে মারধর করতেন। বুধবার রাতে সামান্য ঝগড়া ফ্যাসাদকে কেন্দ্র করে তারা আবার রমেছাকে অনেক মারধর করেন। পরে ছেরে ও ছেলে বউয়ের মারধর সহ্য করতে না পেরে রামেছা তার নিজ ঘরে বিষপান করেন।
এদিকে রোববার বিকেল পৌণে পাঁচটার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে একই উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী পিঞ্জিরা খাতুন (২৮) বিষপান করেন। তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়া এ উপজেলার বাওট গ্রামের রাসেদুল ইসলামের স্ত্রী রেখা খাতুনও (২৫) বিষপান করেন। স্বামী স্ত্রীর মধ্যেকার ঝগড়ার কারণে তিনি বিষপান করেছিলেন বলে পারিবারিকভাবে জানা গেছে।
এর বাইরে গাংনী উপজেলার বাথানপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল পছন্দ না হওয়ায় জুলফিকার আলী ভূট্ট (১৭) নামে এক কিশোর বিষপান করেছে।