প্রেমঘটিত বিষয়ে মা-বাবার বাধা, মোবাইল ফোনে কথা বলতে নিষেধ করা, অভিমান, বাল্যবিয়ে, পারিবারিক কলহ, মাদকাসক্তি ও মানসিক অবসাদ-এসবই আত্মহত্যার মূল কারণ। পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আত্মহত্যার এসব কারণ ওঠে এসেছে।
এলাকার সচেতন মহল বলছে, নগণ্য বিষয়েও ছেলে-মেয়েরা এখন মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বিষয়টি অবশ্যই উদ্বেগের। তবে যথাসময়ে মনোবিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আত্মহত্যার প্রবণতা থেকে ফেরানো সম্ভব।
থানা ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলায় ২০২১ সালে ৬২ জন এবং চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ জন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। তবে সংশ্লিষ্ট অনেকের মতে এর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এর মধ্যে
উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনা হলো- প্রেমঘটিত বিষয়ে মা-বাবা বকাবকি করায় ২০২১ সালের ১৯ মে কলেজছাত্রী তন্নী আক্তার রূপা ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। জুলাই মাসে মা-বাবার সঙ্গে অভিমানে আত্মহত্যা করেন শোলাপ্রতিমা গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পারভিন আক্তার শিলা। আত্মহত্যার কারণ মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়া। একই মাসের শেষের দিকে প্রবাসী যুবকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলতে নিষেধ করায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শিউলী আক্তার আত্মহননের পথ বেছে নেয়। একই বছরের ৭ আগস্ট উপজেলার হামিদপুর গ্রামের শুভ আহমেদের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার (১৬) ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। স্থানীয়রা জানান, অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, বেশির ভাগ তরুণ-তরুণী চাওয়া-পাওয়ার ব্যত্যয়ের কারণেই আত্মহত্যা করছে। জনবহুল এ উপজেলায় আত্মহত্যার প্রবণতা টাঙ্গাইলের মধ্যে শীর্ষে। নগণ্য বিষয়েও ছেলে-মেয়েরা মা-বাবার সঙ্গে রাগ করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বিষয়টি অবশ্যই উদ্বেগের।
সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, পারিবারিক বন্ধন কমে যাওয়া,
তিনি আরও বলেন, কোনো ছেলেমেয়ে যদি আত্মহত্যা করতে চান, তার কিছু আচরণ দেখলেই বোঝা যায়। যথাসময়ে মনোবিজ্ঞানীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে আত্মহত্যা থেকে ফেরানো সম্ভব।