মেহেদী হাসান তুষার।।
১ম পর্ব: অনুসন্ধানী সংবাদকর্মীদের একটা টিম দীর্ঘদিন যাবৎ অনুসন্ধান চালিয়ে যে তথ্য উপাত্ত পেয়েছে তা থেকে জানা যায় এম এ সাঈদ তার আওতাধীন কর্ম পরিধিতে কায়েম করেছেন লুটপাটের রাজত্ব। ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে তিনি একজন আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী ও ডোনার । ঢাকা ওয়াসায় যিনি কায়েম করেছেন লুটপাটের স্বর্গরাজ্য । সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগের সময়ে দাপটের সাথে কাজ পরিচালনা করেছেন এবং এখনো করছেন মুকুটহীন সম্রাটের ন্যায় । গভীর অনুসন্ধানে জানা যায় তিনি আওয়ামী এমপি বাহাউদ্দিন নাসিমের (ঢাকা ৮ আসনের) ভাগ্নি জামাই সেই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ২০১০ সালে চাকুরী নেন রাজস্ব কর্মকর্তা হিসাবে। তার সকল অবৈধ কর্কাকান্ডে সহযোগিতা করছেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুর রব সহ আরো এক মহিলা যুবলীগ নেত্রী। যিনি মানুষকে মানুষ মনে করতেন না।
অবৈধ উৎস থেকে দাবীকৃত টাকা না দিতে পারলে কাউকে হারাতে হয় চাকরি কেউবা হোন হয়রানির স্বীকার । অধীনস্থ অনেকেই আছেন যারা তার রোষানলে পড়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনামলে। ঘুষের টাকা না দিতে পারায় গত ছয় মাসের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে হতে হয়েছে চাকরিচ্যুত এমন নজির রয়েছে বেশ কয়েকটি। এদের মধ্যে একজন “মোহাম্মদ আরাফাত” আরেকজন “সোহান মাহবুব সোহেল”।। ঢাকা ওয়াসায় সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের অনেকেই এমন অভিযোগ জানিয়েছেন যে ,উকিল নোটিশ পাঠানোর পর ঘুষ আদায়ের মাষ্টার মাইন্ড এম এ সাঈদ অবাধে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছেন সীমাহীন ঘুষ-বাণিজ্য । গনমাধ্যমে তার দূর্নীতি অনিয়ম নিয়ে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে তার দূর্নীতি অপকর্মের নানা চালচিত্র। তিনি তার আওতাধীন সাইট গুলোতে রাজস্ব আদায়ের আড়ালে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা যা সরকারি কোষাগারে জমা হবার কথা । এক্ষেত্রে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত রাজস্ব আদায় থেকে ।
যা দূর্নীতির পদ্ধতিতে চলে যায় সাইদ সিন্ডিকেট এর পকেটে ।। অবৈধ দূর্নীতি অনিয়মের টাকায় বনশ্রী এলাকার আফতাব নগরে বানিয়েছেন নিজ নামে বাড়ি গাড়ী ও অবৈধ সম্পদ । আবু সাঈদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ জানিয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি দেন সংস্থাটির রাজস্ব অঞ্চল-৩–এর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর মধ্যে এলাকা বণ্টনের জন্য বিলিং সহকারীদের কাছ থেকে তিন–চার লাখ টাকা করে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও আছে। অভিযোগ আছে, সাঈদ সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অধীনস্থ কর্মীদের গালাগাল করার মতো দূর্ব্যবহারের নানা অভিযোগ । দাবি জানানো হয়েছিলো—সাঈদের কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোরও। বেশ কয়েকটি অভিযোগ এর মধ্যে ব্যবহার করা গাড়ীর জ্বালানি খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে জানা যায় উক্ত বিষয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর সাঈদের বিরুদ্ধে আগের অভিযোগটিতে কোনো ব্যক্তির স্বাক্ষর ছিল না। তাই আমলে নেওয়া যায়নি।
অনুসন্ধান রাজস্ব জোন -১ যাএাবাড়ী শাখার কর্মরত আব্দুর রব পদাধিকার বলে তিনি রাজস্ব কর্মকর্তা ধুরুন্দর সেয়ান বিপদের গন্ধ পেলে আপনার পায়ে ধরতেও রাজি দায়িত্ব পালন করার আড়ালে কামিয়েছেন ভরপুর অবৈধ টাকা গড়েছেন নামে বেনামে অঢেল সম্পত্তি দূর্নীতির টাকায় বেশ কয়েকবার গিয়েছেন হজ্জেও, বাড়িও বানিয়েছেন এই শহরেই । এবার আসি তার অতিরিক্ত মুনাফার লোভে অধীনস্ত জুনিয়রদের বিনা কারণে বসিয়ে রেখে রাজস্ব পরিদর্শকের কাজ তিনি নিজেই করেন তার প্রমাণ দিননাথ সেন রোড, কোড নং-৪০১,বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় তিনি তার রাজস্ব পরিদর্শক পদাধিকার বলে অধীনস্থদের সঙ্গে এহেনো আচরন চাকুরি বীধিমালা পরিপন্থী । বিলিং সহকারীদের সাথে প্রতিনিয়ত অসদাচরণ ছাড়াও করেন তাদেরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে ডিউটি হীন রাখার নজীর রয়েছে। যার প্রতিবাদ জানালেই তিনি তাদেরকে দায়িত্ব না দিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে ওএসডি করে রাখেন এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে জানান যে ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তারা নাকি তার হাতের মুঠোয়।
গোপন সূত্রে জানা যায় আব্দুর রব ও তার আওতাধীন লোকদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয় উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এম, এ, সাঈদকে খুশি রাখতে । এম,এ,সাঈদ তার ঘুষ বানিজ্যে ঠিক রাখার জন্য সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্রবার শনিবারেও অফিস খোলা রাখতো । কর্মচারীদের পরিবারের লোক অসুস্থ হলেও ছুটি মিলতোনা , এমনকি একসাথে নিয়োগ হওয়া তার দুজন কলিগ উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (চলতিদায়িত্ব) জনাব, মোঃ আবুবক্কর সিদ্দিকী এবং মোঃ তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী সহ আরো অনেককে পদোন্নতি পর্যন্ত আটকে রাখে । ঢাকা ওয়াসার আয়না ঘরের নিয়ন্ত্রণ থাকা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ হলেও তাদের হাত এত লম্বা যে তারা তাদের জায়গায় বহাল রয়েছেন। এর ইন্ধনদাতা কারা তাদেরকে কারা লালন পালন করতেছে অনুসন্ধান টিমের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে করছেন। আসছে বিস্তারিত…