শৈত্যপ্রবাহ তীব্র হলে স্কুল-কলেজের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ও বন্ধ থাকবে। কোনো জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রির নিচে নামে, সেক্ষেত্রে সেই জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-২) মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সই করা অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকরা ওইসব জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শীতের তীব্রতা ও স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারবেন।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি না হওয়া পর্যন্ত ওইসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা নিয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলেই স্কুল বন্ধ রাখা যাবে। তবে এর দুই ঘণ্টার পরই সেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনা হয়।
সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মাউশির ওয়েবসাইট থেকে আগের চিঠিটি সরিয়ে পরিবর্তিত আদেশের চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপপরিচালকরা ওইসব জেলার শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেবেন।