নগর সংবাদ।।দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে দেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলো হুমকির মুখে পড়ে হারিয়ে যাবে।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে দলের গাজীপুর মহানগর নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও দেশের মানুষ প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ পায়নি। সংবিধানের মূল চারটি স্তম্ভের মধ্যে গণতন্ত্র নেই। সাংবিধানিকভাবেই একনায়কতন্ত্র চলছে। আর রাষ্ট্রীয়ভাবে সমাজতন্ত্র বাতিল করে মুক্তবাজার অর্থনীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সামাজিক ন্যায় বিচার নেই বললেই চলে। জাতীয়তাবাদও হুমকির মুখে, জাতির নিজস্বতা হারিয়ে যাচ্ছে। দেশে শুধু ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় আছে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করে প্রতিটি ধর্মের অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে জবাবদিহিতা থাকে না। একনায়কতন্ত্রে ক্ষমতাসীনরা আইনের ঊর্ধ্বে থাকেন। বেড়ে যায় দুর্নীতি ও দুঃশাসন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল অর্জন করতে পারবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তনের আশায় চেয়ে আছে। তারা আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপিকে চায় না। কারণ বিএনপি দেশের মানুষের প্রত্যাশা বোঝে না। তারা তাদের নেত্রীর চিকিৎসা আর এক নেতার দেশে ফেরার রাজনীতিতে ব্যস্ত। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।
জাপার গাজীপুর মহানগর সভাপতি ও চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এমএম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন গাজীপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মো. মোশারেফ হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল হক, যুগ্মসচিব মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. বেলাল হোসেন, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মামুন, জিয়াউর রহমান বিপুল, গাজীপুর মহানগরের আলফাজ উদ্দিন, মো. আয়নাল মিয়া, জালাল মেম্বার, সেলিম পাঠান, আমজাদ সরকার, নাসির উদ্দিন, বারী মাস্টার, রমিজ উদ্দিন রাজু, জহির সরকার, আমান উল্লাহ, হারুন অর রশিদ, সাইফুল সরকার, আলহাজ ইসরাফিল মিয়া, ওমর ফারুক, হাজী আবদুস সামাদ মিয়া, ইউনুস বাহারুল ইসলাম, হানিফ মাস্টার, আকরাম হোসেন, সাবেক কাউন্সিলর বাদল মিয়া, হিরন মিয়া, আলমগীর রেজা, আশরাফুল আলম, আব্দুল আজিজ, ছালাম মোল্লা প্রমুখ।