আজ ১৩ ই এপ্রিল শনিবার, রাত পোহালেই বাঙালীর বড় উৎসব নববর্ষ , পুরানোকে বিদায় দিয়ে নতুন কে আহ্বান , আর তার সাথে সাথে কাল থেকে শুরু হবে বাসন্তী পুজো, কাল ষষ্ঠী। দুই মিলিয়ে আজ প্রত্যেকটি বাজারে ফল থেকে শুরু করে ফুল এবং দশকর্মার দোকানে জিনিসের দামে আগুন। ক্রেতারা বিপাকে, আর ১লা বৈশাখ মানেই ব্যবসায়ীদের নতুন খাতা খোলা,
যারা মাসের পর মাস দোকান দারদের কাছ থেকে জিনিস কেনেন, এই দিনটিতে তারা তাদের পুরানো হিসাব মিটিয়ে, আবার নতুন ভাবে কেনাকাটা শুরু করেন। যেটা বাঙালীদের কছে হালখাতা বলে পরিচিত, সকাল থেকেই দোকানে দোকানে চলবে পুজো ও হালখাতা , এবং মন্দিরে মন্দিরে জমবে ভিড় পুজো দেওয়ার জন্য, তেমনি পাড়ায় পাড়ায় বেজে উঠবে বাসন্তী পুজোর ঢাক, দুটো মিলে একটা আলাদা আনন্দ ও উৎসব সৃষ্টি হবে, তাই আজ প্রত্যেকটি বাজারে গিয়ে দেখা গেল সত্যিই মাথায় হাত দেওয়ার মতো, প্রতিমা আগের বছর ৪০০ টাকায় কিনেছেন এবারে তাদেরকে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
তাই নয় ফলের বাজারেও একই অবস্থা আপেল ২০০ থেকে আড়াইশো টাকা শসা ষাট থেকে 70 টাকা, কলা৭০ থেকে ৮০ টাকা ডজন, বেদানা আড়াইশো টাকা, লেবু ৩০ টাকা জোড়া, একটি কলাগাছ কুড়ি টাকা, ডাব সর্বনিম্ন ৫০ টাকা এর উপরে ৬০ থেকে ৭০ টাকা।, তেমনি দশকর্মার দোকানে পুরোহিতের লিস্ট মত জিনিস কিনতে গিয়ে দেখলেন ,আগেরবার যে সকল জিনিস কিনতে খরচ হয়েছে ৫০০ টাকা, এবারে সেটা ৭০০ টাকা দাঁড়াচ্ছে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় পূজা উদ্যোক্তাদের কিছুটা ধাক্কা খেতে হচ্ছে। তারা বলেন আমরা একটা বাজেট করে আসি, আর এখানে এসে যখন বাজেট বেড়ে যায়, তখন আবার আমাদেরকে নতুন চিন্তা নিতে হয়। দোকানেও একই অবস্থা। বিক্রেতারা জানালেন ,আমরা কী করব,
আমাদের রোজ মার্কেট থেকে জিনিস কিনতে হয় ,যেদিন যেরকম দাম পড়ে আমাদেরকে এইভাবে বিক্রি করতে বাধ্য হতে হয়। কারণ না হলে আমাদের পোষাবে না , একদিকে যেমন ফল নষ্ট হয়, তেমনি, প্রতিমা মিস্ত্রিদেরও প্রতিমার সাজ কিনতে এই জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় ,তাহাদেরও প্রতিবছর দাম বাড়তে বাধ্য হতে হয়। তবুও কিছু করার নাই, কোনভাবে পুজো উদ্যোক্তাদের করতে হবে, এই রীতি বংশ পরস্পরাই হয়ে এসেছে, তাই আজ বাজার না করে রাখলে, পুজো করতে অনেক দেরি হয়ে যাবে। এটাই জানালেন। রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নতুন জামা কাপড় পড়ে বেরিয়ে পড়বে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে তার সাথে সাথে চলবে দোকানে দোকানে লক্ষ্মী গণেশের পুজো। আজ দোকানদার থেকে শুরু করে পূজো উদ্যোক্তারা মার্কেটে ভিড় জমিয়েছেন কেনাকাটার। আর আজই চৈত্র মাসের শেষ দিন সব মিলিয়ে বাজার গরম এবং ক্রেতাদের ভিড়ে অষ্টাগত। বাঙালী জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন এই ১লা বৈশাখ,