ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা দিতে না পারায় এই অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুরের পূর্ব লামাপাড়ার একটি ক্লাবের ঘটনাটিতে সোমবার (৫ জুন) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম দুলালী বেগম (৪৮)। সে বগুড়া জেলার নয়মাইল বারান্দা এলাকার বাদশা মিয়ার স্ত্রী। বর্তমানে জালকুড়িতে পরিবার নিয়ে গার্মেন্টসে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। টিপু সুলতান ছাড়া অন্য অভিযুক্তরা হলেন- নাজমুল ইসলাম, শিমুলসহ অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েক জন।
অভিযুক্ত সকলের বাড়ি ফতুল্লার কুতুবপুরের পূর্ব লামাপাড়া এলাকায়। দুলালী বেগম জানান, তাঁর বড় ছেলে ইব্রাহিমের সাথে ২০ বছর বয়সী কাকলি আক্তার প্রেমের সূত্র ধরে একে একে ২ বার চলে আসে। পরে ৪ থেকে ৫ মাস আগে তারা কাজী ডেকে বিয়ে করেন। কিন্তু মেয়ের বাবা তাঁর পুত্রবধুকে জোর করে নিয়ে চলে যায় এবং নানা ভাবে হুমকি-দামকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ জুন রাত ৮টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি টিপু সুলতান বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি টিপু সুলতান ও তার সহযোগীরা পেটে, বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী ভাবে লাথি, কিল, ঘুষি মেরে মারাত্মক নীলাফোলা জখম করেন। এ সময় তাঁর বাম কানের পর্দা ফেটে যায়। পরে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ক্লাব থেকে বের করে দেয় টিপু সুলতানরা। স্থানীয়দের সহযোগীতায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ৫ জুন ভোর রাতে বাড়িতে ফিরেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত টিপু সুলতানকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে পরে কথা বলবে জানায়। তবে, অপর অভিযুক্ত নাজমুল ইসলাম নারীকে রাতভর আটকে রাখার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বাহিরে হয়তো মারধর করা হয়েছে। আমরা ক্লাবের ভিতরে ছিলাম। দুপুরে অভিযোগ দায়ের করা হলেও বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রেজাউল করিম দিপু ও তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আনোয়ার কামাল হারুন কোন কিছু জানে না বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান জানান, অভিযোগের সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।