শনিবার ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৪:৫৯
শিরোনামঃ
Logo কলকাতার মোহরকুঞ্জে, ৮তম জাতীয় জঙ্গলমহল উৎসব ও জৈব উদ্ভিদ মেলা ২০২৪ Logo ‘দরদ’ সিনেমায় শাকিবের অভিনয়ের প্রশংসা করতে ভুলছে না দর্শক Logo ভা‌লো এক‌টি নির্বাচন উপহার দি‌তে পার‌বেন ব‌লে তিনি আশা ক‌রেন- উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ Logo স্ত্রীর শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের মামলায় ৩০ বছর কারাভোগ মুক্ত,আয়ের উৎস হিসেবে ভ্যান উপহার  Logo সিলেট জেলার কানাইঘাটে আইসক্রিম বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার Logo জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চৌহালীতে বিএনপি’র জনসমাবেশ Logo বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা Logo আড়াইহাজারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বিদেশি পিস্তলসহ ডাকাতকে আটক Logo মা ও মেয়েকে গায়ে এসিড ছুড়ে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই Logo চলমান ১৫টি কারখানাও যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে

নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় দুধের বাজার গোগনগর মলো বাাড়ি -যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার দুধ বিক্রি হয়।

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: জুলাই, ১৫, ২০২৩, ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ
  • ১৫৯ ০৯ বার দেখা হয়েছে

       
 
  

 

নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় দুধের বাজার গোগনগর মলো বাাড়ি -যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার দুধ বিক্রি হয়ে থাকে।

সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় কেনা-বেচা, চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। এরপর  আবার বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত কেনা-বেচা চলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর মলোবাড়ি দুধ বাজারে। বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় দুধের বাজার এটি। যেখানে প্রতিদিন প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার দুধ বিক্রি হয়ে থাকে। এখানে মাসে বিক্রি হয় প্রায় ২৫ কোটি টাকার দুধ।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো এই দুধের বাজার। এই বাজারটিকে কেন্দ্র করে আশপাশের অন্তত ১৫টি গ্রামে ছোট-বড় ছয় শতাধিক খামার গড়ে উঠেছে। যেখানে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার কেজি দুধ উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে এই দুধ বাজারে সকাল-বিকেল মিলিয়ে ১২ হাজার কেজি বিক্রি হয়ে থাকে। বাকিটা খামার থেকে সরাসরি সংগ্রহ করেন ক্রেতারা।

সপ্তাহের প্রতিদিনই সকাল-বিকেল দু’বেলা জমে ওঠে এই বাজার। ঢাকা-মুন্সিগঞ্জসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারি আর খুচরা ক্রেতারা এই বাজারে গরুর খাঁটি দুধ সংগ্রহে আসেন। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিক্রেতারা দুধের মান ধরে রেখেছেন।

বিগত ৩৫ বছর ধরে এই বাজার থেকে দুধ কিনে আসছেন বিষুনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, আমি এখান থেকে দুধ কিনে নিয়ে টক দই বানিয়ে বিক্রি করে থাকি। এটা অনেক পুরানো বাজার। এখানে দুধের মান অনেক ভালো। এজন্য এখানে আমার মতো অনেক ক্রেতাই আসেন।

 

তিনি বলেন, যখন এখানে প্রথম আসি তখন ১২ টাকা কেজি দুধ কিনতাম। সেই দুধ এখন ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। দুধের মান এখনও আগের মতোই রয়েছে।

ফতুল্লা এলাকার বাসিন্দা মো. মাহিবুল্লাহ বলেন, এই দুধ বাজার কমপক্ষ ৪০ বছর আগে থেকে বসে আসছে। আমার আগে এখান থেকে দুধ নিতেন আমার বাবা। এই বাজারের দুধের মান খুব ভালো এবং ক্রেতা বিক্রেতা সবার ব্যবহারই ভালো।

গোগনগর এলাকার গরু খামারি নূর মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বর্তমানে গো-খাদ্যের দাম বেশি, সে তুলনায় দুধের দাম অনেক কম। যার কারণে আমরা খামারিরা কষ্টে রয়েছি। গরুর যে খাদ্যের দাম ছিলো ২০ টাকা সেটা এখন ৪০ টাকা হয়ে গেছে। যে খুদের বস্তা ১ হাজার টাকা ছিলো সেটা ১৮০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা হয়ে গেছে। খৈল ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগেও দুধ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। তবে এখন একটু বেড়েছে। আমি আগে ২০০ কেজি দুধ বিক্রি করতাম। আগে গরু ছিলো ৩০ থেকে ৩৫টা। গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুধের গরু বিক্রি করে এখন ৪-৫টা রয়েছে। যার কারণে আমার দুধ বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে।

হোসেন নামের খামারি বলেন, বর্তমানে আমার ১৩টি গরু রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ৭০ কেজি, বিকেলে ৪৫ কেজি দুধ বিক্রি করে থাকি। মাঝে মাঝে কম বেশি হয়ে থাকে। কয়েকদিন আগে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এখন বেচা-কেনা ভালো। খাবারের দামও একটু কমছে। কয়েকদিন আগে কয়েক লাখ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল। এখন আর কোনো দেনা নেই।

 

গোগনগর ইউনিয়নের লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার (এলএসপি) শারমীন আক্তার  বলেন, এখানে তিনটি ইউনিয়নের খামারিরা দুধ বিক্রি করে থাকেন। গোগনগর, আলীরটেক ও কাশীপুর এই তিন মাঝামাঝি জায়গায় বাজারটির অবস্থান। গোগনগর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় তিন শতাধিক ডেইরি খামার রয়েছে। পাশাপাশি আলীরটেক ও কাশীপুর ইউনিয়ন মিলিয়ে আরও শতাধিক খামার রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই বাজারে প্রতিদিন দুইবেলা দুধ বিক্রি হয়ে থাকে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বড় বড় কোম্পানিগুলোও এখান থেকে দুধ কিনে নিয়ে যায়। এখানে এমনও খামারি আছেন যারা প্রতিদিন ১২০০ লিটার দুধ বিক্রি করেন। সে হিসাবে এই বাজারে দিনে ৩০০ মণ দুধ বিক্রি হওয়া স্বাভাবিক।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, এই বাজারটি অনেক প্রসিদ্ধ বাজার। এই বাজার শুরু হওয়ার পর এটাকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকায় কয়েক শতাধিক খামার গড়ে উঠেছে। তারা এখানে দুধ বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার  বলেন, এই বাজারটি অনেক দিনের পুরানো বাজার। এই বাজারটির কারণে এলাকার মানুষজনের অনেক সুবিধা হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, আত্মকর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা তৈরিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে বাজারটি।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell