নারায়ণগঞ্জ হাজীগঞ্জ পেপার মিল সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে স্বামী-সন্তান ও ভাই-বোনের চক্রান্তে বাড়ি ছাড়া আয়েশা (৬৫) বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে প্রকাশ, আয়েশা নামে থাকা সম্পত্তি জবরদখল করার পায়তারা চালাচ্ছে। আয়েশাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে পরিবারের লোকজন । নিরাপত্তাহীন অনিশ্চিত জীবন নিয়ে আয়েশা বিচারেরর আশায় দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরছে বলে জানান গণমাধ্যমকে। তিনি আরো বলেন, তার স্বামী আবুল মিয়া (৭০)তার ছোট বোনকে নিয়ে অবৈধ ভাবে বসবাস করছে তারই বাড়িতে। মায়ের দেয়া প্রাপ্য সম্পত্তিতে এখন তারই থাকার ঠাই নেই। অনৈতিক সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় (আয়েশার স্বামী) মাদক ব্যাবসায়ী আবুল মিয়া ও ছোট বোন মাসুদার( ৪৫) যোগসাজশে বাড়ি থেকে মারধর করে বের করে দেন। আয়েশা আরো জানান, এর আগেও ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর তারিখে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ফতুল্লা থানা পুলিশ অভিযোগ অনুযায়ী ৩ -১২-২০২০ইং তারিখে ঘটনাস্থলে আসেন এবং তদন্ত করেন। নানান তদবির করেও সুবিচার পাননি ভুক্তভোগী আয়েশা। তিনি বলেন অভিযোগ করার পর ফতুল্লা থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন দারোগা আন্তরীক ভাবে আয়ু হয়ে অনেক চেষ্টাও করেছেন গৃহ বিবাধ সমাধানের। সাময়িক ফয়সালা হলেও,হয়নি শেষ জুলুম নির্যাতন। এক টুকরো জমি আত্মসাতের লোভে। আমি আজ বাড়ি ছাড়া ভিটা শূন্য। পুলিশ আসে ভালো আর চলে গেলে আমার ভাই মাদক ব্যাবসায়ী সমশের, বোন মাসুদা উভয় পিতা মৃত বাদশা মিয়া ও আমার স্বামী আবুল মিয়া যোগসাজশে আরো নির্যাতনের পরিমান বাড়িয়ে দেন। বয়স হয়েছে বলে নিজের কন্যা সন্তানও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আমার দিক থেকে। বড় মেয়ে প্রহার করে দরজা বন্ধ করে সহি সাবুত নিতে চেষ্টা করে। আয়েশা বলেন আমি প্রানের ভয়ে নিজের জান নিয়ে আজ ফেরারি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেশকিছু দিন যাবত আমার মায়ের দেয়া প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত। নিরাপত্তাহীন ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে যাযাবরের মতো। আমার সংসার জীবন কেড়ে নিয়েছে স্বামী আবুল মিয়া আমি বড় স্ত্রী আমাকে তালাক না দিয়ে দিব্যি সংসার করছে মায়ের পেটের ছোট বোন চরিত্রহীন লোভী মাসুুদাকে নিয়ে । সব হারিয়ে আমি আজ নিঃস্ব, আমার নিজ সম্পত্তি আমার মায়ের দেয়া যেখানে আমার নিজ বাড়ি তিনটি ঘর রয়েছে। বাড়িতে বসবাসের জন্য পুনরায় আইনের সহায়তা আশাকরি। আমার শেষ জীবনের সময় টুকু নিজ বাড়িতে নিরাপত্তা সহ বাচঁতে চাই।অসহায় আয়েশা নারায়নগন্জ কোর্টে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।