আসন্ন ২০২২ সালে নারায়ানগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক,প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার ও নাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার। সোমবার(৬ ডিসেম্বর)বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ানগঞ্জ নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এই মতিবিনিময় সভা। মতিবিনিময় সভাটি নারায়ানগঞ্জ নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃমতিয়ুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনা ও নাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মাহফুজা আক্তার।আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ানগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার আফরোজা খাতুন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ইউসুফ-উর-রহমান, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ্ আলম, সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আশরাফ সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক,প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা। মতিবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা বলেন,ডিসেম্বর মাস আমার আপনার সন্তান্দের পরীক্ষার মাস।এই মাসেই নির্বাচনী প্রচারণা হচ্ছে।আপনেরা খেয়াল রাখবেন যাতে প্রতি মহল্লা মহল্লায় যেনো মাইকের ব্যবহারটা কম হয়।শিক্ষার্থীদের যেনো বিরক্ত না করে মাইকের শব্দে সেদিকে নজর দেবার অনুরোধ রইল।সেই সাথে একই কেন্দ্রে দেখা যায় সাংবাদিকদের হাজার হাজার কার্ডদারী।কিন্তু সেই সাথে আমার সাংবাদিক যারা মাঠে ময়দানে কাজ করে তাদের অনেকেই নির্বাচনের পর্যবেক্ষণের কার্ড পাচ্ছে না অথচ রাজনৈতিক অনেক নেতাকর্মী কার্ড পাচ্ছে।আমরা মাঠে ময়দানে কাজ করি আমাদের এই বিষয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়।আপনাদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে আপনেরা এই বিষয়ে একটু খেয়াল রাখবেন।কিছু নামধারী মানবাধিকার সংস্থা একগাদা নাম নিয়ে আসেন।তারা কোন একজন প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে আসেন।গত নির্বাচনে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে একটা ঘটনা ঘটেছে। নারায়ানগঞ্জ জেলার স্থানীয় ও অনলাইন মিডিয়ার সম্পাদকের উদ্দেশ্যে সাংবাদিকরা আরো বলেন,কোন টেলিভিশন,স্থানীয় পত্রিকা বা অনলাইন পোর্টালের সাথে যারা সম্পৃক্ত না এমন কাউকে যেনো কার্ড না দেই নির্বাচন উপলক্ষ্যে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহফুজা আক্তার বলেন,আমার দিক থেকে প্রত্যাশার কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের দিন পুরো নারায়ণগঞ্জকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি থাকবে এবং পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো কেন্দ্রে কাউকে কোনোরকম বিশৃঙ্খলা করতে দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে র্যাব পুলিশ-বিজিবির পাশাপাশি সবধরনের স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এর বাইরেও কোনো বাহিনীর প্রয়োজনবোধ করলে নির্বাচন কমিশন সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন,গত ১১ তে সহ ১৬ সালেও ইভিএম নির্বাচন হয়েছে নারায়ানগঞ্জ জেলার আংশিক কিছু কেন্দ্রে।আমরা ৫ বছর পার করে এসেছি।এখন দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ।আমাদের রংপুর,কুমিল্লা,চট্রগ্রাম ম,ঢাকা সহ বেশ কিছু জায়গায় ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে।এক সময় দেখা যাবে সারা বাংলাদেশে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রয়োগ হচ্ছে।সব জায়গায়ই আমরা ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট নিচ্ছি।তার জন্যই আমরা কারিগরী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।আর নারায়ানগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।ইভিএম পদ্ধতি জন্য ইতিমধ্যে আমরা অনেকই প্রশিক্ষন দিয়েছি।যাতে করে এই পদ্ধতিতে কাজ করতে কারো কোন সমস্যা না হয়। তাছাড়া নারায়ানগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৯০টি ভোট কেন্দ্রে ২জন করে দক্ষ ইভিএম মেশিন পরিচালনাকারী দেওয়া হবে।এজন্য সবধরনের প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের রয়েছে।পূর্বের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ইভিএমে ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনা করা ব্যালট পেপারের চেয়ে সহজ।এছাড়াও যান্ত্রিক ত্রুটির ঝুঁকি এড়াতে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্ধারিত ইভিএম মেশিনের সাথে অতিরিক্ত আরও দু’টি করে মেশিন মজুদ থাকবে। যাতে যেকোন ধরনের সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলা করা যায়। উল্লেখ্য,গত ৩০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের তফসিল মোতাবেক মনোনয়ন পত্র ক্রয় শুরু হয়েছে ৫ ডিসেম্বর থেকে এবং মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর। ২০ ডিসেম্বর মনোনয়ন বাছাই এবং ২৭ ডিসেম্বর (সোমবার) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন নি করা হয়েছে।ভোট গ্রহণ ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।